পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: গড়ফায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। বিজেপি করায় হামলা, দাবি আক্রান্ত ব্যবসায়ীর। মারধরের ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। কসবার বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ী অমিত দাসের অভিযোগ, সোমবার গড়ফায় সোনার দোকানের সামনে তাঁর ওপর চড়াও হয় দুই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ।
প্রোমোটিংয়ের ব্যবসাতেও যুক্ত ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁর একটি ফ্ল্যাটে জোর করে একজনকে ঢুকিয়ে দেয় দালালির সঙ্গে যুক্ত শাসকদলের ঘনিষ্ঠ ওই দুই ব্যক্তি। দালালির টাকার ভাগ চাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরেই তাঁকে মারধর করা হয়।ব্যবসায়ীর অভিযোগ, এরপর গতকাল ১০৫ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর তরুণ মণ্ডল ফোনে তাঁকে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে বলেন। যদিও ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরের দাবি, বিষয়টি না জেনেই তিনি মিটমাটের কথা বলেন। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
গত ২৪ অগাস্ট উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরে দুই বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় বাঁশ, রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ ওঠে কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে।
গেরুয়া শিবির অভিযোগ তোলে, হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। পুলিশ সূত্রে খবর, দু-দলের তরফেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২৩ অগাস্ট থেকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার গুরুতর অভিযোগগুলির তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ঠিক তার আগের দিন রাতে উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরের বিদ্যাসাগর পল্লিতে দুই বিজেপি কর্মীকে বাঁশ, রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ওঠে, ২২ অগাস্ট রবিবার রাতে বাড়ির কাছে আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মী টিটু সরকার ও বিক্রম রায়। কয়েকজন দুষ্কৃতী রাস্তায় তাঁদের ঘিরে ধরে মারধর করে। বিজেপি সূত্রে দাবি, টিটু ও বিক্রম ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন। ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল বেরোতেই রাতে টিটু সরকারের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
বিজেপির দাবি, সম্প্রতি নিজের এলাকায় ফেরেন তাঁদের দুই কর্মী। এরপরই হামলা হয়। এই ঘটনায় রবিবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, কোনও স্ট্যাম্প না দিয়ে শুধুমাত্র কেস নম্বর লিখে অভিযোগ নিয়েছে পুলিশ।
বিজেপি রাজ্য কমিটি সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন, তৃণমূলের হাতে আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। পুলিশ ঠিকঠাক গ্রেফতার করছে না। নিউ ব্যারাকপুর শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জানান, 'আমাদের কেউ মারেনি। ওরাই এলাকায় এসে চমকাচ্ছিল। আমাদের কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি করে।' ঘটনায় বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলও এই ঘটনায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে।