প্রকাশ সিন্হা ও রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: এবার ভুয়ো ভ্যাকসিন, করোনার ওষুধ ও মেডিক্যাল সরঞ্জামের কালোবাজারির তদন্তে নামল ইডি। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে অভিযান। এদিন প্রথমে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে গ্রেফতার দেবাঞ্জন দেবের মাদুরদহের বাড়িতে হানা দেন ইডি-র অফিসাররা। 


তল্লাশি চলে দেবাঞ্জনের আত্মীয় রাহুল বর্ধনের লেনিন সরণির বাড়িতেও। রাহুল মেডিসিন সাপ্লায়ার হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়াও, ওয়াটগঞ্জে দেবব্রত সাহুর বাড়িতেও অভিযান চালান ইডি-র তদন্তকারীরা। রেমডেসিভির কালোবাজারির অভিযোগে দেবব্রতকে আগেই গ্রেফতার করা হয়। রাজ্যে ভুয়ো ভ্যাকসিনের পাশাপাশি অক্সিজেন, রেমডেসিভির, অক্সিমিটারের কালোবাজারি নিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। 


অন্যদিকে, ভ্যাকসিন সেন্টারে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা জলপাইগুড়িতে। এক ছবি মুর্শিদাবাদেও। ভ্যাকসিন পেতে গিয়েই পদপিষ্ট হওয়ার জোগাড় এ ছবি দেখার পরই নবান্নের নির্দেশ, কুপন ছাড়া কাউকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। 


মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ভ্যাকসিন সেন্টারে দেখা যায় চরম বিশৃঙ্খলা। পড়ে গিয়ে প্রায় ১৫ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও এদিন দেখা গিয়েছে একই ছবি। যত পরিমাণ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তার কয়েকগুণ বেশি ভিড় হয়ে যাওয়ায়, শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি, বচসা। বিভিন্ন জেলা থেকে, ভ্যাকসিনেশন শিবিরে বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। মঙ্গলবার সন্ধেয় সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশকর্তা এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে ভিড় সামাল দিতে কুপন ছাড়া ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না।


নবান্নের তরফে এও জানান হয়, পর্যাপ্ত জায়গা নিয়ে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশ মোতায়েন রাখতে হবে। থানার IC-দের ভ্যাকসিনেশনের জায়গা সম্পর্কে তথ্য রাখতে হবে। এদিন বৈঠকে ধূপগুড়ির ঘটনা নিয়ে মুখ্যসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলেও সূত্রের খবর।