কলকাতা : কাঁকুলিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার ও তাঁর সঙ্গী শুভঙ্কর মণ্ডলকে মুম্বই থেকে কলকাতায় আনা হল।  গতকালই ভিকি ও তার সঙ্গীকে  মুম্বইয়ে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, আজই ধৃত ২ জনকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে।  আদালতে তাদের ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানাতে পারে পুলিশ। কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ি চালক রবীন মণ্ডলের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ভিকি হালদার ঘটনার পরই শুভঙ্করের সঙ্গে পালিয়েছিল মুম্বইয়ে। সেখানে গা ঢাকা দিয়ে নির্মীয়মাণ আবাসনে কাজ নিয়েছিল তারা।  


পুলিশকে ফাঁকি দিতে তারা ব্যবহার করত না মোবাইল ফোন। মুম্বইয়ে গিয়ে নির্মীয়মাণ বহুতলে যোগ দিয়েছিল ওয়াচম্যানের কাজে। কিন্তু এতকিছু করেও শেষরক্ষা হয়নি। গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় মূল অভিযুক্ত। মুম্বই থেকে ভিকি ও তাঁর এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। 


আরও পড়ুন :
সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়েও মিলল না রেহাই, কাঁকুলিয়ায় জোড়া খুনে গ্রেফতার ভিকি-সঙ্গী


জোড়া হত্যাকাণ্ডে এই নিয়ে গ্রেফতার হল ৬ জন। কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ি চালক রবীন মণ্ডল হত্যাকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন মিঠু হালদার। একে একে পুলিশের জালে ধরা পড়েন চার-চার জন। 
অবশেষে ২ হাজার কিলোমিটার দূরে আরব সাগরের তীরে ধরা পড়ে, ডায়মন্ডহারবারের ভিকি। মুম্বইয়ের কালা চৌকি থানা এলাকার এস এস মার্গে, একটি ৪৮ তলার নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে গ্রেফতার করা হয় ভিকি ও তাঁর সঙ্গী শুভঙ্কর মণ্ডলকে। 

পুলিশ সূত্রে দাবি, ভিকির মতো সে-ও সরাসরি খুনের ঘটনায় যুক্ত। ফার্ন রোডে কাজের সূত্রে পরিচয় হয়েছিল তাদের।  কিন্তু কীভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে মুম্বই চলে গেল তারা? পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়, ১৭ অক্টোবর খুনের পর ডায়মন্ডহারবারে চলে যায় ভিকি।  ১৮ তারিখ রাতে হাওড়া থেকে মুম্বইয়ের ট্রেন ধরে সে ও শুভঙ্কর। এই নিয়ে জোড়া খুনের ঘটনায় ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।