কলকাতা : কাঁকুলিয়া কর্পোরেট কর্তা খুনে ধৃত আরও ১। এনিয়ে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ৪। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পারুলিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। আজ ভোররাতে গ্রেফতার করে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ আসার খবর আঁচ করে সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে ছিল অভিযুক্ত। খুনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যোগ আছে ধৃতের, এমনই দাবি পুলিশের। ধৃত ভিকি-সঙ্গীর নাম সঞ্জয় মণ্ডল। যদিও এখনও অধরা জোড়া খুনে মূল অভিযুক্ত ভিকি।


কোথায় লুকিয়ে রয়েছে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী খুনে মূল অভিযুক্ত ভিকি ? হন্যে হয়ে তার খোঁজ চালাচ্ছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, কোনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না ভিকি। তার হদিশ পেতে পরিচিতদের তালিকা তৈরি করে সেইসব জায়গায় খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।


কাঁকুলিয়া রোডে কর্পোরেট কর্তা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার। কিন্তু, এখনও পুলিশের হাতের নাগালের বাইরে সে। কোথায় রয়েছে ভিকি ? হদিশ পেতে মরিয়া গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের ঘটনার পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও কল রেকর্ড ঘেঁটে প্রথমেই ভিকিকে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন।


সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা বারবার অভিযান চালালেও প্রতিবার গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছে সে। লালবাজার মনে করছে, দাগী দুষ্কৃতীদের মতো ভিকি এই খুনের ঘটনার আগে ও পরে কোথাও কোনও ক্লু রাখতে চায়নি। 


সুবীর চাকীকে খুনের দিন ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে। ফার্ন রোডের এই নির্মীয়মাণ বহুতলে কাজ করত অভিযুক্ত ভিকি। খুনের দিন সকাল থেকে এখানেই ছিল সে। তার আচরণ ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক। 


প্রসঙ্গত, গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া হত্যাকাণ্ডে আগেই মিঠু হালদার নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে ধরা পড়ে বাপি মণ্ডল ও জাহির গাজি নামে আরও দু-জন। দু-জনেরই বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে। বাপি থাকত নাইয়াপাড়ায়। জাহিরের বাড়ি রামরামপুরে। আজ ধরা পড়ল আরও একজন।