কলকাতা: এবার দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে রাজ্যপালের যোগের অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। ছবি প্রকাশ করে জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেবাঞ্জনের যোগ থাকার অভিযোগ তুললেন শাসক দলের নেতা। 


বৃহস্পতিবার, রাজ্যপালের সঙ্গে দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর একটি ছবি প্রকাশ করা হয় তৃণমূলের তরফে। এই ছবি প্রকাশ করে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় দাবি করেন, দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর মাধ্যমেই কয়েকজনের কাছে বিশেষ উপহার যেত।


এদিন সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘রাজ্যপালের সঙ্গে প্রতারকের দেহরক্ষীর যোগ থাকলে তা দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর। ঘনিষ্ঠতার গুরুত্ব আপনারা বুঝতেই পারছেন।’ 


তাঁর প্রশ্ন, ‘প্রতারক দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী রাজভবনে কেন? তদন্তকারীদের গোচরে বিষয়টি আনছি, আসল তথ্য সামনে আসুক।’


পাশাপাশি, জৈন হাওয়ালাকাণ্ড নিয়েও এদি  রাজ্যপালকে ফের নিশানা করেন সুখেন্দুশেখর। প্রশ্ন করেন, ‘জৈন হাওয়ালা নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পরেও কেন চুপ রাজ্যপাল?’


তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকের দিন মারা গেলেন জৈন হাওয়ালা কাণ্ডের মাথা। এই ঘটনা কাকতালীয় কিনা দেখা দরকার।’


সুখেন্দুশেখর দাবি করেন, ‘জৈন হাওয়ালার ডায়েরিতে রয়েছে এক জগদীপ ধনকড়ের নাম। তিন চারটি ইনস্টলমেন্টে টাকা নিয়েছিলেন ডায়েরিতে নাম থাকা জগদীপ ধনকড়।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘এই জগদীপ ধনকড় কে?’


তিনি যোগ করেন, ‘এই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোথাও জমি কেলেঙ্কারি, জৈন হাওয়ালায় কেলেঙ্কারির অভিযোগ। এজেন্সির মাধ্যমে এই অভিযোগের তদন্ত করা উচিত।’


তৃণমূল সাংসদের দাবি, ‘অবিলম্বে এই রাজ্যপালকে বরখাস্ত করা উচিত।’ এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলেও জানান সুখেন্দুশেখর। বলেন, ‘তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ট্যুইটের পর চুপ কেন রাজ্যপাল ?’


এই প্রথম নয়। এর আগেও, রাজ্যপাল ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন সুখেন্দুশেখর। গত ২৯ তারিখ, তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, দুর্নীতিবাজ-সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে, এরকম লোকেরাও যদি রাজ্যপালের পদে চলে আসে, সেটা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক।


একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ১৯ জুলাই সংসদে অধিবেশন শুরু হলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নিয়ম মেনে কী পদক্ষেপ করা যায় তা সিদ্ধান্ত নেবে দল।