অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও ঋত্বিক মণ্ডল, কলকাতা: বিসর্জনেই শেষ নয়৷ সেখান থেকেই হল নতুন করে শুরু৷ এবারও শহরের কয়েকটি পুজোর প্রতিমা সংরক্ষণের উদ্যোগ নিল সরকার৷ প্রতিমা রাখা হবে রবীন্দ্র সরোবরের সংগ্রহশালায়।


‘গিরি, এবার আমার উমা এলে, আর উমা পাঠাব না। বলে বলবে লোকে মন্দ, কারও কথা শুনব না।’মা মেনকার করুণ আর্তি ফুটে উঠেছে গানের কথায়। 


কিন্তু কে শোনে কার কথা? নিয়মের নিগড়ে বাঁধা যে সবাই। সেই নিয়ম মেনেই চলছে উমা বিসর্জন। কিন্তু সেই বিসর্জনেও শেষ নয়, বরং নতুন করে শুরু৷ অন্যান্যবারের মতে এবারও বেশ কিছু দুর্গা প্রতিমা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 


এ বছর হিন্দুস্তান ক্লাবের দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন হচ্ছে না। সংরক্ষণ করে রাখা হবে শিল্পীর অভূতপূর্ব সৃষ্টি। রবীন্দ্র সরোবর ‘মা ফিরে এল’সংগ্রহশালায় রাখা হবে প্রতিমাটি।  


হিন্দুস্তান ক্লাবের  পুজো উদ্যোক্তা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, উদ্বোধনে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন সংরক্ষণের কথা। সেই কথা মেনে ঠাকুর সংরক্ষণ করা হচ্ছে। গড়িয়াহাটের হিন্দুস্তান ক্লাব এবারে তাদের মণ্ডপ তৈরি করেছিল শুকনো গাছের ডাল দিয়ে। ক্ষতিগ্রস্ত আমাজনকে মণ্ডপসজ্জায় ফুটিয়ে তোলেন শিল্পী। 


হিন্দুস্তান ক্লাব, আলিপুর ৭৮ পল্লি সহ শহরের বেশ কিছু দুর্গা প্রতিমা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, অরবিন্দ সেতু সর্বজনীনের প্রতিমা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিপিও। এবার এই পুজোর থিম ছিল ডাকঘর। 


পাশাপাশি, বড়িশা ক্লাবের প্রতিমা সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। এবার এই পুজোর থিম ছিল, ভাগের মা। 


আজও বাবুঘাট সহ গঙ্গার ঘাটগুলিতে দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন চলছে।  ঘাটে ঘাটে মোতায়েন কলকাতা পুরসভার কর্মী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিশ।  প্রতিমা বিসর্জনের পাশাপাশি, সকাল থেকে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট পরিষ্কারের কাজ চলছে। ঘাট থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে প্রতিমার কাঠামো, ফুল-সহ বর্জ্য পদার্থ। সেইসঙ্গে চলছে আবর্জনা সাফাই। উল্লেখ্য, বিসর্জনের আয়োজনের মধ্যেই গঙ্গা থেকে জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল।