সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: দিন কয়েকের প্রবল বৃষ্টিতে সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। কলকাতার বেশিরভাগ বাজারে প্রায় সব সবজির দামই পার করেছে হাফ সেঞ্চুরি। বৃষ্টির জন্য ফসলের ক্ষতি হওয়ায় এই পরিস্থিতি বলে দাবি বিক্রেতাদের একাংশের।


একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। বহু জায়গায় এখনও জমা জল। চাষের জমি জলের তলায়। খেতেই পচে গেছে ফসল। এর প্রভাবে সবজির বাজারে আগুন-দাম। গড়িয়াহাট বাজারে বৃহস্পতিবার বিন ১০০ টাকা কেজি। পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। ঢেঁড়শ ৫০ টাকা কেজি। ৬০ টাকা বেগুন। ঝিঙে, চিচিঙ্গে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।  শশা ৫০ টাকা। উচ্ছে, করলাও ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। ক্যাপসিকামের কেজিপ্রতি দাম ৬০ টাকা।



করোনা পরিস্থিতিতে অর্থ ব্যবস্থায় ধাক্কা লেগেছে। কোটি কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। আয় কমেছে অসংখ্য মানুষের। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় মাথায় হাত ক্রেতাদের। এদিন সকালে গড়িয়াহাট বাজারে এক ক্রেতা বলেন, সব সবজির দামই কেজিতে ১০, ১৫, ২০ টাকা করে বেড়েছে। এরপর কী কিনব? বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হওয়াতেই সবজির চড়া দাম। গড়িয়াহাট বাজারে এক বিক্রেতা বলেন, বৃষ্টির জন্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে। জোগান কম থাকায় দাম বেড়েছে। টম্যাটো, বিন, গাজর, ক্যাপসিকাম মূলত আসে ভিন রাজ্য থেকে। বাকি ফসল জোগান দেন রাজ্যের কৃষকরা। খুচরো বাজারের বিক্রেতাদের আশঙ্কা, সেই জোগান না বাড়লে দাম কমার এখনই সম্ভাবনা নেই। 


জল যন্ত্রণায় জেরবার সাধারণ মানুষের জীবন। তবে এখনই কাটছে না ভ্রুকুটি। উত্তরবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। আজ ও কাল বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে পটনা হয়ে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত মৌসুমী অক্ষরেখা। বিহারের ওপর রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরেই উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি, উত্তরবঙ্গের এই পাঁচ জেলায় আজ হলুদ সতর্কতা ও শুক্র ও শনিবার কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।