সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: টোকিও অলিম্পিক্স উপলক্ষে আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হল হাওড়া ব্রিজ। একেবারে নবরূপে। বিভিন্ন সময় ব্রিজে নতুন নতুন রঙয়ের ঝলক দেখা যাচ্ছে। কখনও জাপানের জাতীয় পতাকা তো কখনও অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো বিভিন্ন প্রতীকী ভেসে উঠছে আলোকসজ্জায়।


কলকাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্টের কর্মকর্তাদের উদ্যোগেই এইভাবে রঙিন আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে শহরের বুকে এই ঐতিহ্যশালী ব্রিজটিকে। পোর্টের কর্মর্তাদের পক্ষ থেকে একজন বলেন, ‘টোকিও অলিম্পিক্স গত বছর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের জন্য এবার তা এক বছর পিছিয়ে গিয়েছে। আমরা জানি যে পাঁচটি মহাদেশের প্রতিযোগীরা এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। সেদিকটা ভেবেই আমরা বিভিন্ন মহাদেশের প্রতীকীকে আলোকসজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও আয়োজন দেশ হিসেবে জাপানের জাতীয় পতাকা থেকে শুরু করে সবকিছু আলাদা ভাবে তুলে ধরতে চেয়েছি। ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের উৎসাহ দিতে আলাদা করে জাতীয় পতাকাও ব্রিজের আলোকসজ্জায় দেখতে পাওয়া যাবে। তেরঙ্গা দেখা যাবে ব্রিজে।’



এর আগেও বিভিন্ন সময় হাওড়া ব্রিজ বিভিন্ন কারণে নতুন নতুন আলোকসজ্জায় সেজে উঠতে দেখা গিয়েছে। সেই সম্পর্কে বলেত গিয়ে সেই কর্মকর্তা বলেন, ‘এরকম এর আগেও করেছি আমরা। এটাকে টেকনিক্যালি বলা হয় ডায়নামিক আর্কিটেকচার অফ লাইটিং। এর উদ্বোধন করছিলেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। গত বছর ১১ জানুয়ারি এর উদ্বোধন হয়েছিল। এরপর থেকে বিভিন্ন স্পেশাল দিনে আমরা এই কাজটা করার চেষ্টা করে থাকি। যেমন স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস। এছাড়াও বিভিন্ন উৎসবের সময় যেমন, দুর্গাপুজোর সময়, দেওয়ালি, হোলির সময়ও ব্রিজকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি আমরা। এছাড়া আরও কিছু আন্তর্জাতিক দিন থাকে। ইন্টারন্যাশনাল ওমেন্স ডে, ব্রেস্ট ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস ডে সহ বিশেষ দিনগুলোতে সাজিয়ে তোলা হয় ব্রিজ।’


কতদিন এমনটা দেখতে পাবে সাধারণ মানুষ? সেই প্রশ্নের উত্তরে উদ্যোক্তাদের তরফে বলা হয়েছে, যতদিন পর্যন্ত অলিম্পিক্স চলবে, ততদিন পর্যন্ত এই আলোকসজ্জা দেখতে পাওয়া যাবে।