কলকাতা: এসএসকেএমে জটিল অস্ত্রোপচারে বাঁচল সদ্যোজাতের প্রাণ। এক মাসের শিশুর খাদ্যনালি থেকে বের করা হল ধাতব হুক। এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে অস্ত্রোপচারে বাঁচল প্রাণ। আপাতত সঙ্কটমুক্ত শিশু, সুস্থ হতে আরও চার দিন লাগবে, জানালেন চিকিত্‍সক। খেলার সময় মায়ের পোশাকে থাকা হুক গিলে ফেলেছিল এক মাসের শিশু। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাঁশকুড়া থেকে পাঠানো হয় এসএসকেএমে। সেখানেই জটিল অস্ত্রোপচার শেষে সারিয়ে তোলা হয় সদ্যোজাতকে।



কিছুদিন আগেই কয়েন আটকে যায় আড়াই বছরের শিশুর খাদ্যনালীতে। তিন দিন টানাপোড়েনের পর নৈহাটির নার্সিংহোমে সফল হয় অস্ত্রোপচার। খাদ্যনালী থেকে বের করা হয় এক টাকার কয়েন। জানা যায় তিন দিন ধরে ছোটাছুটির পর নৈহাটির নার্সিংহোমে আড়াই বছরের শিশু কন্যার খাদ্যনালি থেকে বের হয় এক টাকার কয়েন। গাইঘাটার শিমুলিয়ার ওই  শিশুর পরিবার জানায়, একদিন রাতে খেলতে খেলতে গলায় এক টাকার কয়েন মুখে পুরে দিলে তা আটকে যায় খাদ্যনালিতে। শিশুটির শরীরে অস্বস্তি লক্ষ্য করে মা জানতে চাওয়ায় সে বলে, কয়েন পেটে চলে গিয়েছে। মা চেষ্টা করেও গলা থেকে কয়েনটি বের করতে পারেননি। এরপর ওই শিশুটির বাবা-মা চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। 



শিশুর বাবা দিন মজুরের কাজ করেন। স্থানীয় এক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে হতদরিদ্র পরিবার। কিন্তু, ওই চিকিৎসক কিছু করতে পারেননি। পরদিন শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে এক্স-রে করলে দেখা যায়, খাদ্যনালীর মুখে কয়েনটি আটকে রয়েছে। বলা হয়, এ ধরনের চিকিৎসার পরিকাঠামো এখানে নেই। শিশুটিকে আরজি কর হাসপাতালে রেফার করা হয়। এরপর শুরু হয় টানাপোড়েন।শিশুর পরিবারের দাবি, করোনা আবহে কলকাতায় আসতে প্রচুর টাকা ভাড়া চায় অ্যাম্বুল্যান্স। শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, সব কিছুই বন্ধ। কীভাবে বলকাতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে, তা ভাবতে পারছিলাম না। অ্যাম্বুলেন্স অনেক টাকা ভাড়া চায়। 



সামর্থ্য না থাকায়, শিশুটিকে কল্যাণীর বিভিন্ন নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, কেউ কোনও সুরাহা করতে পারেনি। এরমধ্যে, শিশুটি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। শুরু হয় বমি। টানা তিনদিন ভোগান্তির পর মঙ্গলবার সকালে শিশুটিকে নৈহাটির এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে এন্ডোস্কপির মাধ্যমে খাদ্যনালীর মুখে থাকা কয়েনটি বের করা হয়। এরপর সুস্থ হয় শিশুটি। খাদ্যনালি থেকে কয়েন বের করা সম্ভব হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন শিশুটির বাবা-মা। চিকিৎসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।