কলকাতা: কলকাতার রেড রোডে হল স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।
করোনা আবহে, গতবারের মতো এবারও দর্শকশূন্য ছিল গোটা অনুষ্ঠান। মাত্র আধঘণ্টার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ও ‘খেলা হবে’, ‘দুয়ারে সরকার’, ‘দুয়ারে রেশন’, ‘পাড়ায় সমাধান’ সহ রাজ্য সরকারের মোট ৯টি ট্যাবলো।
এদিকে, ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুটের পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানে ভাষণও দেন তিনি।
৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দফতরে পতাকা উত্তোলন করেন দিলীপ ঘোষ। বামেদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ, দেরিতে হলেও বোধোদয় হয়েছে। যখন গোটা পৃথিবীতে মার্কসবাদ ছিল না ওরা সেটা পশ্চিমবঙ্গে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে।
শুধু কলকাতা নয়, জেলায় জেলায় হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফের তরফে পতাকা উত্তোলন করা হয়। জওয়ানদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মিষ্টি। ছিল বিএসএফের ডগ শো।
বারাসাতে ৭৫ ঊর্ধ্ব মহিলাদের দৌড়ের আয়োজন করা হয়। আজ সকালে বারাসাত-ব্যারাকপুর রোডে এই দৌড়ের আয়োজন করা হয়। কয়েকহাজার প্রতিযোগী অংশ নেন।
স্বাধীনতা দিবসে কোচবিহারে জেলাশাসকের কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক পবন কাদিয়ান। বহরমপুর সার্কিট হাউস চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় এবারের কৃতিরা।
জলপাইগুড়িতে পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। কুচকাওয়াজের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ট্যাবলো প্রদর্শিত হয়।
দুর্গাপুরে মহকুমা শাসকের দফতরে পতাকা উত্তোলন করেন মহকুমাশাসক শেখর চৌধুরী। পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের দফতরে পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক বিভু গোয়েল।
বীরভূমের জেলা প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক বিধান রায়চৌধুরী। মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মালদার জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। এদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় জেলা প্রশাসনের তরফে। মালদা পুলিশ লাইনে পতাকা উত্তোলন করেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া।
কাঁথি সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক রেশমি কোমল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় কচিকাঁচারা। করোনা আবহে এবার দর্শকদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
বাঁকুড়ায় জেলা শাসকের কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার। ওড়ানো হয় ৭৫টি বেলুন। অন্যদিকে, বাঁকুড়া পুলিশ লাইনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।