কলকাতা : ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে জামিন দিল না আদালত। আপাতত পুলিশ হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে। শনিবার সজল ঘোষের অনুগামীদের স্লোগান-সাউটিংয়ের জেরে, সরগরম হল ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বর।
শুক্রবার থেকে এই ঘটনায় রাজ্য-রাজনীতিতে তুঙ্গে উঠেছে চাপানউতোর! এবার এই ইস্যুতে তৃণমূলের গলায় শোনা গেল জনরোষের তত্ত্ব!  অন্যদিকে বিজেপির জবাবে ‘প্রতিহিংসা’র অভিযোগ। সজল ঘোষের গ্রেফতারিই বুঝিয়ে দিচ্ছে বাংলায় বিজেপি করলে কী হবে! তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গ্রেফতার না করলে জনরোষ তৈরি হত,পাল্টা জবাব দিলেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
অন্যদিকে, মুচিপাড়াকাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষের স্ত্রী তানিয়া ঘোষ দাবি করলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে জোর করে বাড়িতে ঢোকা, সঙ্গে মহিলা পুলিশ না থাকা, তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি-সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে গতকাল মুচিপাড়া থানায় গেলেও পুলিশ কোনও এফআইআর করেনি। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন ধৃত বিজেপি নেতার স্ত্রী। 




' সাদা পোশাকে দরজা ভেঙে যারা ঢুকেছিল তারা কি আদৌ পুলিশ ? ' , প্রশ্ন তুললেন সজল-পত্নী




শনিবারই আবার, মুচিপাড়াকাণ্ডে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের হল তৃতীয় এফআইআর। এবার ক্লাব ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।শুক্রবার মুচিপাড়া থানার কাছেই ওই ক্লাবে ভাঙচুর হয়। এই ঘটনায় ভাঙচুর ছাড়াও হিংসা ছড়ানো, মারধর-সহ একাধিক ধারা এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজেপি নেতা সজল ঘোষের অনুগামীদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে মুচিপাড়া থানায় এক যুব তৃণমূল নেতার স্ত্রীকে ইভ টিজিংয়ের অভিযোগ দায়ের হয়। শুক্রবার সকালে আবার মুচিপাড়া থানার পাশে সজল ঘোষের অনুগামীদের একটি ক্লাবে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সজল ঘোষের অভিযোগ, শুক্রবার সকালে তাঁরা এবিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও, পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। সকালেই মুচিপাড়া থানায় সজল ঘোষ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্র দেখিয়ে মারধর এবং দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই পুলিশ সজল ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে যায় এবং লাথি মেরে, সদর দরজা ভেঙে তাঁকে গ্রেফতার করে।