অর্ণব মুখোপাধ্যায় , কলকাতা : গরম পড়তেই কলকাতার বাজারে ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইসের (Industrial Ice) রমরমা। দেদার মেশানো হচ্ছে লস্যি থেকে ফ্রুট জুস, শরবতে ! শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইস বন্ধেই বুধবার অভিযান চালাল কলকাতা পুরসভা।


গরম পড়তেই শহরের মোড়ে মোড়ে বেড়েছে শরবত থেকে ফ্রুট জুস, বা লস্যি বিক্রির রমরমা। অভিযোগ, অনেক জায়গায় তাতে দেদার মেশানো হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইস। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর ! আর এসব বন্ধ করতে বুধবার অভিযানে নামল কলকাতা পুরসভা। 


কোথাও ফেলে দেওয়া হল খাওয়ার অযোগ্য বরফ। কোথাও ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইস মিশিয়ে দেওয়ায় গোটা লস্যিটাই ফেলে দিতে হল।


আরও পড়ুন ; ফুলহার নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল ২ নাবালিকা


এদিন নিউ মার্কেট চত্বর, লিন্ডসে স্ট্রিট, কলকাতা পুরসভা চত্বরে অভিযান চলে। কাউকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়, তো কারও কপালে জোটে ধমক। পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে তর্ক করায় ক্ষমা চাইতে হয় এক বিক্রেতাকে। আগামী কয়েক দিন এধরনের অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।  


কলকাতা পুরসভার ডেপুটি সিএমওএইচ বিভাকর ভট্টাচার্য বলেন, "জিনিসগুলো ঠান্ডা করার উপকরণ হিসেবে যে বরফটা রয়েছে, সেটা ভাঙা রয়েছে। ব্যবহার করা হতেই পারে। কারণ, গুঁড়িয়ে রাখলে যদি একটা চাঙ্ক মেশায় যে ক্রেতা গরমে এসে খাচ্ছে, তিনি তো অত বিবেচনা করবেন না। এজন্য আমরা বেরিয়ে এটা দেখার চেষ্টা করছিলাম।"


এপ্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, "আমরা সব জায়গায় চেক করছি। যেখানে যেখানে অসঙ্গতি চোখে পড়ছে, সেখানে নোটিস দিচ্ছি। ইতিমধ্যেই কয়েকটা সেভেন স্টার, ফাইভ স্টার, কয়েকটা নামকরা চেন রেস্তোরাঁকে ইমপ্রুভমেন্ট নোটিস দেওয়া হয়েছে। ফুড সেফটি অফিসারদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- সমস্ত রোস্তোরাঁ, হোটেল, রাস্তায় যারা খাবার বিক্রি করছে স্ট্রিট ভেন্ডর- সব জায়গায় কঠোর নজরদারি চালাতে হবে।"