হিন্দোল দে ও ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: পুলিশ কমিশনারের মেয়ে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর পুলিশের উর্দি পরা ছবিও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল। যাদবপুরের তরুণীর কাণ্ডকারখানায় লালবাজারে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরই আত্মীয়।


কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ছবিতে লেখা...বাপি...সঙ্গে ভালবাসার চিহ্ন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে কলকাতা পুলিশের ইউনিফর্মে নানা ছবি।কখনও সার্জেন্ট,কখনও নিজেকে ইন্সপেক্টর বলে জাহির করতেন এক তরুণী। তাঁর নাম ইনি সুলগ্না ঘোষ। 


সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এভাবেই নানা পরিচয়ের জাল বুনেছিলেন যাদবপুরের বিক্রমগড়ের বাসিন্দা এই তরুণী। অভিযোগ, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নিজের বাবা পরিচয় দিতেন তিনি।সুলগ্নার বিরুদ্ধে এখনও কোনও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের না হলেও, মিথ্যে পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে, লালবাজারে নালিশ করা হয়েছে।


পুলিশ না হয়েও, পুলিশের বেশে সোশাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করার মধ্যে, মেয়ের অবশ্য কোনও দোষ দেখছেন না মা। তিনি বলেছেন, আমার মেয়ে খুব সাজতে ভালোবাসে। কখনও দুর্গা সাজে.. কখনও অন্যকিছু। পুলিশ সাজলে দোষের কী? কোনও ক্রাইম তো করেনি। লালবাজারে ওর বন্ধু অভিযোগ জানিয়ে দিল!


শুক্রবার তরুণী ও তাঁর পরিবারকে ডেকে সতর্ক করে লালবাজার। সূত্রের খবর, তরুণীর পরিবারকে বলা হয় মনোবিদের পরামর্শ নিতে। এই ধরনের কাজ তরুণী যাতে আর না করেন, তার জন্য তাঁকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।


অন্যদিকে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসার পরিচয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে । লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে দমদমের বাসিন্দা চন্দন রায়কে।  তৃণমূলের চিকিত্সভক নেতার দাবি, কয়েকদিন আগে তাঁকে শান্তনু মিত্র পরিচয়ে ফোন করেন এক ব্যক্তি।  নিজেকে তিনি ইডি অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি জানান, ইডি-র কাছে শান্তনু সেনের নামে একটি কেস আছে। সেই কেস মিটিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা চান ওই ব্যক্তি। সন্দেহ হওয়ায় লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদ। তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।