কলকাতা: যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল হাসপাতালে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। রাতের অন্ধকারে ২টি অ্যাম্বুল্যান্স ও একটি শববাহী গাড়ি ভাঙচুর। 


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, নিরাপত্তা রক্ষীকে ভয় দেখিয়ে বসিয়ে রেখে গতকাল রাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় ১০-১২ জন দুষ্কৃতী। ক্ষতিগ্রস্ত সবকটি গাড়িই হাসপাতালের এক কর্মীর। এনিয়ে বুধবার যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। 


সম্প্রতি হাসপাতাল চত্বরে ফ্লো-মিটারের কালোবাজারির ঘটনায় এবিপি আনন্দের খবরের জেরে এই হাসপাতাল থেকে দুই অ্যাম্বুল্যান্স চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরই হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 


সেই কারণেই আক্রোশবশত ভাঙচুর বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমান। হামলার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


করোনা-আবহে কলকাতাতেই কীভাবে অক্সিজেনের ফ্লো-মিটারের কালোবাজারি চলছে, তার পর্দাফাঁস গত সপ্তাহে  করেছিল এবিপি আনন্দ।  সেই খবরের জেরে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


এবিপি আনন্দর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।


প্রতিবেদনে স্পষ্ট ধরা পড়েছিল, কীভাবে বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে কালোবাজারে ফ্লো মিটার বিক্রি হচ্ছে।  এরপরই কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বৃহস্পতিবার যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। 


সেখানে বলা হয়, এবিপি আনন্দ কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে একটি স্টিং অপারেশন চালিয়েছে, যেখানে রাহুল নামে এক ব্যক্তিকে ক্যাম্পাসেই ফ্লো মিটারের কালোবাজারি করতে দেখা গেছে। 


জানা যায়, ওই যুবকের মামা কেপিসিতে অ্যাম্বুল্যান্স চালক। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কেপিসি-র অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, 
আমাদের অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে, ওই যুবক যে অ্যাম্বুল্যান্স চালকের কথা বলছিলেন, তাঁর নাম নেপাল। আমাদের অনুমান, ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করা হোক।


এবিপি আনন্দর এই খবরের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর থানা এলাকা থেকে বাপ্পা রাউত ও প্রিন্স হালদার নামে ২ বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ২টি অক্সিজেন ফ্লোমিটার।