কলকাতা: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ পদে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী জহর সরকার।
দুপুর তিনটে পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়। এদিন দুপুর তিনটের পর বিধানসভার সচিবের সঙ্গে দেখা করেন জহর সরকার।
বিধানসভার সচিব জহর সরকারের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন। আজ রাতেই দিল্লি যাচ্ছেন জহর সরকার। বাদল অধিবেশনেই রাজ্যসভায় যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা।
এর আগে, বুধবার বিধানসভার সচিবের ঘরে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রাক্তন আইএএস ও প্রসারভারতীর প্রাক্তন সিইও। সঙ্গে ছিলেন, তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ।
১২ ফেব্রুয়ারি, তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্যপদ ত্যাগ করেন দীনেশ ত্রিবেদী। মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করায় আসনটিতে ফের নির্বাচন হচ্ছে। সেখানেই, জহর সরকারকে প্রার্থী করে তৃণমূল।
সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিন ভাল সম্পর্ক। আদ্যন্ত বাঙালি জহর সরকারের। স্কুল জীবন কেটেছে সেন্ট জেভিয়ার্সে। প্রেসিডেন্সি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হন তিনি।
এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর। মাস্টার্স করেন সমাজবিদ্যাতেও। বিভিন্ন বিষয়ে সাসেক্স ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিও পান।
রাজ্যের শিল্প, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সচিব পদে কাজ করেছেন। মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব ছিলেন জহর সরকার। প্রসার ভারতীর সিইও হিসেবে সাড়ে ৪ বছর ছিলেন।
বিভিন্ন ইস্যুতে মোদি সরকারের সঙ্গে মতানৈক্যের আবহে মেয়াদ শেষের চার মাস আগে প্রসারভারতীর সিইও’র পদে ইস্তফা দেন তিনি। সম্প্রতি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্যুতে রাজ্যের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা করেন এই প্রাক্তন আমলা।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সেই জহর সরকারের মুখে উঠে এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের প্রসঙ্গ। বলেন, দেখা যাচ্ছে জাতীয় স্তরে, রাজ্যস্তরের নেতাদের কাবু করে দিয়েছে। ফাইটিং স্পিরিট কমে গেছে, তাই বেশি সুবিধে পেয়ে যাচ্ছে। আমরা বলছি সাংবিধানিক মূল্যবোধ মানুন, মমতার ফাইটিং সিনড্রোম।
গত ২৪ জুলাই, রাজ্যসভায় তৃণমূলত্যাগী দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী হিসেবে জহর সরকারের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়, রাজ্যসভার জন্য জহর সরকারকে মনোনীত করে দল আনন্দিত। জনসেবামূলক কাজে ৪২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা জহর সরকার প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও। ওঁর অভিজ্ঞতা আমাদের দেশসেবায় আরও বেশি সাহায্য করবে।