রঞ্জিৎ সাউ, নিউটাউন: নিউটাউন পর্নকাণ্ডে নতুন তথ্য পুলিশের হাতে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত ফটোগ্রাফার শুভঙ্কর দে তদন্তকারীদের জানিয়েছে, মূল দুই অভিযুক্ত নন্দিতা ও মৈনাক তাকে শ্যুটের আগে নির্দিষ্ট মেমোরি চিপ দিত। পর্ন ফিল্মের শ্যুট হয়ে গেলে আবার তারা শুভঙ্করের কাছ থেকে সেই মেমোরি চিপ নিয়ে নিত। 


গত পরশু রাতে, নিউটাউন পর্নকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় ভিডিওগ্রাফার শুভঙ্করকে।  পর্ন ভিডিও শ্যুট এবং এডিটের অভিযোগে হুগলির চুঁচুড়া থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার রাতে চুঁচুড়া পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর থেকে শুভঙ্করকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।


২৬ জুলাই নিউটাউনের এক হোটেলে ফটোশ্যুটের নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক তরুণীকে দিয়ে পর্ন শ্যুট করানোর অভিযোগ ওঠে। 


সেই ঘটনায় গত ২৯ জুলাই দমদম থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। নন্দিতা নামে এক মডেল ও মৈনাক নামে এক ফটোগ্রাফারকে গ্রেফতার করা হয়। 


ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার গড়ফা থেকে আটক করা হয় এক স্টুডিওর মালিককে। শনিবার গ্রেফতার হয় আরও শুভঙ্করকে। 


যদিও অভিযুক্তের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর স্ত্রীর দাবি, স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে।  তাঁর দাবি, এমন কোনও কাজ করতে দেখিনি। ও বলে বোল্ড দৃশ্যে শ্যুট করার জন্য কিন্তু রাজি হয়নি। ভাল কাজ করছে বলে হিংসায় এমন কিছু করতে পারে।


কলকাতার পর্নগ্রাফি কারবারের সঙ্গে বলিউডের যোগাযোগের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে আগেই। নিউটাউন কাণ্ডে অভিযোগকারিণী দাবি করেন, অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রার অ্যাপে আপলোড করা হয় তাঁর ছবি। 


তবে, এই ভিডিওগুলি ঠিক কোন সাইটে আপলোড করা হতো, সেই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি কেউ-ই। এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর। 


এদিকে, আজ শেষ হচ্ছে নন্দিতা ও মৈনাকের ৪ দিন পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ। ধৃতদের আজ ফের বারাসত আদালতে তোলা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মৈনাক ঘোষকে আবার পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে।