কলকাতা : বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল কালীঘাট থানার পুলিশ। একইসঙ্গে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ও বিজেপির দুই সাংসদ অর্জুন সিং, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় দেহ নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে। সুকান্ত মজুমদারকে কার্যত রাস্তায় ছুটতে দেখা যায়। পিছু ধাওয়া করে পুলিশ। বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে রাস্তায় বসে পড়া, যান চলাচলে বাধা, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। 


মগরাহাট পশ্চিমের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী ধুর্জটি সাহার মৃতদেহ ঘিরে গতকাল ধুন্ধুমার বাধে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে । ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালীঘাট । বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ জানান, 'দেহ হাইজ্যাক করেছে পুলিশ। আমরা এখন খুঁজতে যাচ্ছি, দেহ কোথায় আছে।' 


বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর তাঁদের মগরাহাট পশ্চিমের পরাজিত প্রার্থী ধুর্জটি সাহা যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছিল তৃণমূল। মাথায় গুরুতর চোট লাগে তাঁর। বুধবার মৃত্যু হয় ধুর্জটি সাহার। 


গতকাল ময়নাতদন্তের পর প্রথমে রাজ্য দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহ। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর এলাকার উপর দিয়ে মৃতদেহ নিয়ে যায় বিজেপি। ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ভবানীপুরের প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, সাংসদ অর্জুন সিং। পুলিশ বাধা দিতেই ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় দু-পক্ষের মধ্যে। এলাকা থেকে দ্রুত শববাহী গাড়ি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তখনই ছুটে গিয়ে গাড়ির সামনে বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। 


এদিকে গোটা ঘটনায় নিজের অভিমত জানাতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, 'ভবানীপুরে নির্বাচন হচ্ছে। ৩০ তারিখ নির্বাচন। সেনসেটিভ জায়গায়, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি, হাই সিকিওরিটি রিস্ক জোন। সেখানে এগুলি করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। নতুন বিজেপি সভাপতি প্রচার পেতে এইসব ভবানীপুরে করছেন। মানুষ নিচ্ছেন না, নেবেন না। পিএইচডি করা ছেলের এই জ্ঞান থাকা উচিত বলে মনে করি।'