পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: মগরাহাট পশ্চিমের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী, ধুর্জটি সাহার মৃতদেহ ঘিরে ধুন্ধুমার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে! ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কালীঘাট! বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'দেহ হাইজ্যাক করেছে পুলিশ। আমরা এখন খুঁজতে যাচ্ছি, দেহ কোথায় আছে।'
বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর তাঁদের মগরাহাট পশ্চিমের পরাজিত প্রার্থী, ধুর্জটি সাহা যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছিল তৃণমূল। মাথায় গুরুতর চোট মাথায় তাঁর। বুধবার মৃত্যু হয় ধুর্জটি সাহার। এদিন ময়নাতদন্তের পর প্রথমে রাজ্য দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহ। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর এলাকার উপর দিয়ে মৃতদেহ নিয়ে যায় বিজেপি। ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ভবানীপুরের প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, সাংসদ অর্জুন সিং। পুলিশ বাধা দিতেই ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় দু-পক্ষের মধ্যে। এলাকা থেকে দ্রুত শববাহী গাড়ি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তখনই ছুটে গিয়ে গাড়ির সামনে বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে গোটা ঘটনায় নিজের অভিমত জানাতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, 'ভবানীপুরে নির্বাচন হচ্ছে। ৩০ তারিখ নির্বাচন। সেনসেটিভ জায়গায়, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি, হাই সিকিওরিটি রিস্ক জোন। সেখানে এগুলি করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। নতুন বিজেপি সভাপতি প্রচার পেতে এইসব ভবানীপুরে করছেন। মানুষ নিচ্ছেন না, নেবেন না। পিএইচডি করার ছেলের এই জ্ঞান থাকা উচিত বলে মনে করি।'
এদিকে মৃত বিজেপি নেতার উপর হামলার অভিযোগে, যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাতে কারচুপি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগে ডায়মন্ড হারবার থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাই দ্বিতীয় এফআইআর দায়েরের প্রয়োজন নেই। আর চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যুর যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।