ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন ২৫ বছরের কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক। জঙ্গিপুরে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সভায় দলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার, জঙ্গিপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তৃণমূলে যোগ দেবেন মইনুল। এমনটা মোটামুটি নিশ্চিতই ছিল। তার আগে, বুধবার নিজের বাড়িতে অনুগামীদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন তিনি। তবে তিনি এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। 



মইনুল হক কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও বৈঠকের পর, ফরাক্কায় কংগ্রেসে ধস নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন প্রাক্তন বিধায়কের এক অনুগামী। মইনুল হকের অনুগামী ফইজুল রহমান বুধবার বলেন, 'খবর সত্য, আমরা তৃণমূলে যোগদান করছি, ফরাক্কার পাঁচ বারের বিধায়ক মইনুল হকের হাত ধরে ওনার সঙ্গে আমরা যতগুলো আমাদের ব্লক কমিটি, শাখা সংগঠন , ছাত্র যুব মহিলা, কিষান, এসসি-এসটি, মাইনরিটি যা আছে টোটাল ইউনিটটাই আমরা তৃণমূলে যোগদান করছি, তার জন্য  বৈঠক হল।'


প্রাক্তন বিধায়কের দল বদলের জল্পনায় কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। অধীর চৌধুরী বলেন, 'এখন যারা তৃণমূলে যাবে! তৃণমূলে যাওয়ার সময় তাদের ক্রেডেনশিয়ালটা কী? কাক হয়ে কাকের মাংস খেতে হবে, না হলে তৃণমূল দলে স্বীকৃতি পাওয়া যাবে না, বড় অদ্ভুত ব্যাপার! তৃণমূল দলে যারা যোগদান করছে কংগ্রেসের লোকরা তাদেরকে ক্রেডেনশিয়াল প্রমান করতে হচ্ছে যে সে আরও বেশি কংগ্রেসের লোককে ভাঙাতে পারবে।'


১৯৯৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত, টানা ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন তিনি। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হন। ২০১৩ থেকে AICC-র সম্পাদক পদে ছিলেন মইনুল। প্রথমে জম্মু-কাশ্মীর পরে, ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পান তিনি।  এবার বিধানসভা ভোটে, ফরাক্কায় লড়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেস মুর্শিদাবাদেও খাতা খুলতে পারেনি। আর কংগ্রেসের এই সঙ্কটকালে দল ছাড়লেন মইনুল।