কলকাতা: কসবায় ঘাতক বিএমডব্লিউ থেকে মিলল ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত অডি গাড়ি থেকে মিলেছে মদের বোতল, গ্লাস। 


প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনার আগে গাড়িতে বসে মদ্যপান করছিল ওই যুবকরা। ঘাতক বিএমডব্লিউ থেকে ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ মেলায় ওই যুবকরা মাদকাসক্ত ছিল কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


প্রাথমিক রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুর্ঘটনার সময় বিএমডব্লিউ-র গতি ১০০ কিলোমিটারের বেশি ছিল।


গতকাল ভোরে কসবায় হুক্কা বারের সামনে ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক পথচারীর। মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন এক পুলিশকর্মী। চার অভিযুক্ত ও হুক্কা বারের মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


শুক্রবার সকাল পর্যন্ত খোলা ছিল কসবা মেন রোড লাগোয়া একটি হুক্কাবার! অভিযোগ, বারে আসা কয়েকজনের মধ্যে গন্ডগোল বাধে।


অশান্তির আঁচ পৌঁছয় রাস্তায়। অভিযোগ, চার যুবক মত্ত অবস্থায় নিজেদের মধ্যে বচসায় জড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কসবা থানার এক কনস্টেবল। 


প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এরপর গাড়ি নিয়ে চলে যায় বিএমডব্লিউর মালিক।  আচমকাই সে গাড়ি নিয়ে ফিরে এসে প্রচন্ড গতিতে পরপর ধাক্কা মারতে থাকে।


তীব্র গতিতে ছুটে আসা বিএমডব্লিউ পিষে দেয় তপন দে নামের এক ফুটপাথবাসীকে। গাড়ির ধাক্কায় রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে কাতরাতে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।


এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এমন স্পিডে মারল যে লোকটা মুখে থুবড়ে পড়ে গেল, বোতল কুড়াতে এসেছিলেন এত জোরে মারে যে পড়ে গেল।


ঘটনাস্থল থেকে বিএমডব্লিউর মালিক রাজদীপ শর্মা ও তাঁর এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় চান্দের পাল ও সুমিত আগরওয়াল নামে আরও দুই অভিযুক্তকে। 


বিধিভেঙে কেন খোলা ছিল হুক্কাবার? আজব সাফাই বার কর্মীদের। তাঁদের দাবি, আজ একটু লেট হয়েছে বন্ধ করতে, যেহেতু এত গেস্ট হয়েছে ওই চক্করে বন্ধ হয়নি, যা ঝামেলা হয়েছে বাইরে হয়েছে।


লালবাজারের নির্দেশে শেষ অবধি গ্রেফতার করা হয় হুক্কাবারের মালিক রোহিত রাজপুতকে।  ধৃত পাঁচজনের বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা। শনিবার তাদের তোলা হবে আদালতে।