কলকাতা: কেষ্টপুরে অভিজাত আবাসনে ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত মৃতদেহ। মৃত ব্যবসায়ীর নাম রাহুল থিরানি, শিলংয়ের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, ২ সপ্তাহ আগেই শিলং থেকে কলকাতায় আসেন রাহুল। শেয়ার বাজারে লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। অন্যদিকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শেয়ার বাজারে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, গতকাল নিউটাউনে বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। এ দিন বিকেল নাগাদ সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এরপর দরজা ভেঙে দেখা যায় বসার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে যুবকের দেহ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। খুন নাকি আত্মহত্যা তা জানতে তদন্ত শুরু করে নিউটাউন থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, গত কয়েকমাস ধরেই নিউটাউন থানা এলাকায় চন্ডীবেড়িয়ার এই বিল্ডিং-এর দোতলায় ১০৭ নম্বর ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন ওই যুবক। একুশ বছরের খুফাইজা সিদ্দিকি বিহারের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর ২১-এর ওই যুবকের সঙ্গে ফ্ল্যাটে আরও দু-জন থাকতেন। পুলিশের অনুমান দু-তিন দিন ধরেই এই ফ্ল্যাটের মধ্যে পড়েছিল যুবকের মৃতদেহ। তাহলে এই সময়ে কোথায় ছিলেন বাকি রুম মেটরা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
অন্যদিকে, গত ১১ জুলাই সকালে সরশুনায় একটি বন্ধ বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হয়। পচা গন্ধ বের হতে দেখে স্থানীয়রা সরশুনা থানায় খবর দেন। এর পর পুলিশ এসে বাড়ির তালা ভেঙে বুলা সরকার নামে ওই ব্যক্তির পচা গলা দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই আর্থিক অনটনে ছিল এই পরিবার। সংসার টানতে রিক্সা চালানোর পাশাপাশি ক্যাটারিং-এ হেলপারেরও কাজ করতেন বুলা।
তবে লকডাউন পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে, বন্ধ হয়ে যায় সব কাজ। কর্মসংস্থান খুইয়ে কার্যত পথে বসতে হয় সরকার পরিবারকে। প্রতিবেশিদের অনুমান, আর্থিক অনটনের জন্য খাওয়া-দাওয়ারও অভাব হচ্ছিল। বাড়িতেও অশান্তি চলছিল। ৪ দিন ধরে বাড়িতে একা ছিলেন ওই ব্যক্তি। কেউ তাঁকে বেরোতেও দেখেননি বলে জানিয়েছেন। কাজেই না খেতে পেয়েই মৃত্যু বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এই সময় পর্বে বেশ কিছু দেহ উদ্ধার হয়েছে বন্ধ বাড়িতে। পরপর মৃত্যুর খবর স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।