কলকাতা: ক্রিস্টোফার রোডে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি (bjp) প্রার্থী চন্দন দাসকে হেনস্থার অভিযোগ তৃণমূলের (tmc) বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, সিসি (cctv) ক্যামেরা বিকল খবর পেয়ে বুথে ঢুকতে গেলে ধাক্কাধাক্কি করেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপন সাহার। 


১১০ নম্বর ওয়ার্ডে গড়িয়ার ব্রিজি এটি নস্কর হাইস্কুলে সিপিএম (CPIM) এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের (tmc)  বিরুদ্ধে। পরে সিপিএম প্রার্থী তনুশ্রী মণ্ডল এসে এজেন্টকে বুথে বসিয়ে দিয়ে যান। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি এই ঘটনায়। 


কলকাতা পুরসভার (kmc) ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডে আজ ভোটগ্রহণ। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটদান পর্ব। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কলকাতা জুড়ে আটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য DGP ও CP-কে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মোট ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথের মধ্যে ১ হাজার ১৩৯টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৭৮৬। এর মধ্যে চিনাপাড়া, পার্কস্ট্রিট, ধাপা ও লাগোয়া এলাকা নিয়ে গঠিত ৭ নম্বর বরোয়, সবচেয়ে বেশি, ২৫০টি  উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে বেহালা, তারাতলা-সহ আশেপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ১৩ নম্বর বরোয়। সেখানে উত্তেজনাপ্রবণ বুথের সংখ্যা ২২।


 শিয়ালদায় টাকি স্কুলের কাছে উত্তেজনা। কংগ্রেস কর্মীদের মারধরের অভিযোগ। ভিড় সরাল পুলিশ। পুরভোটের সকাল থেকেই অশান্তি। শিয়ালদহে কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে এখনও তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। গতকাল থেকেই কলকাতায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির আঁচ মিলিছে। কোথাও মারধর, কোথাও বোমাবাজি, কোথাও আবার ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গোটা দিনে ভোটে আরও কোনও ঘটনা নজরে আসে কি না , তা দেখার। 


আরও পড়ুন: শশী তারুরের লেখা বই প্রকাশ করলেন মিমি চক্রবর্তী