কলকাতা: বেপরোয়া গতি ফের প্রাণ কাড়ল কলকাতায়। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল বাইক আরোহীর।


পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ হাওড়া থেকে এক্সাইডের দিকে আসছিল লরিটি। দ্রুত গতিতে আসার সময় পিছন থেকে ধাক্কা মারলে ছিটকে পড়েন বাইক আরোহী।


দুর্ঘটনার তীব্রতায় টুকরো টুকরো হয়ে যায় তাঁর হেলমেট। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘাতক লরিটি পলাতক। জানা যায়নি মৃতের পরিচয়। 


এর আগে, গতমাসের ২৪ তারিখ প্রায় একই জায়গায় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রেলিং ভেঙে ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলের ওপর পড়ে ট্যাঙ্কার। ওই ঘটনায় আহত হন ট্যাঙ্কার চালক ও খালাসি।


সাঁতরাগাছি থেকে খিদিরপুরের দিকে যাচ্ছিল ট্যাঙ্কারটি।  হেস্টিংসের কাছে এসপ্ল্যানেড আর এজেসি বোস রোডে ফ্ল্যাঙ্ক যেখানে ভাগ হচ্ছে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সেই জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্যাঙ্কারটি নীচে পড়ে যায়। 


পূর্বাঞ্চলে সেনার সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়ামের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের দিকে পাঁচিল ভেঙে ভিতরে আছড়ে পড়ে ট্যাঙ্কারটি। ফোর্ট উইলিয়ামের প্রহরারত সেনাকর্মীরাই গুরুতর আহত চালক ও খালাসিকে উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করে। 


গত বৃহস্পতিবার রেড রোডে ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে দুর্ঘটনা ঘটে। মিনিবাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পুলিশ কর্মীর। আহত হন বাসের ১৯ জন যাত্রী।


পুলিশ জানিয়েছে, বেলা ১২টা নাগাদ রেড রোডে ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে বাইকারোহী পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা মারে বাসটি। এরপর গাছে ধাক্কা মেরে, সোজা পাঁচিলে উঠে যায়।  


বাসের তলায় পিষ্ট হয়ে যান পুলিশকর্মী। বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন, ফোর্ট উইলিয়ামের মধ্যে থাকা সেনা জওয়ানরা। প্রাথমিকভাবে, তাঁরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। 


পরে ক্রেন দিয়ে মিনিবাসটিকে সরিয়ে নীচ থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পুলিশ কর্মীকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকরা মৃত ঘোষণা করেন। 


 আজ, রবিবার, ঘাতক মিনিবাস চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।