অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় শিশুদের চিকিত্‍সার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কীভাবে আক্রান্ত শিশুদের চিকিত্‍সা হবে, কীভাবেই বা বোঝা যাবে কোনও শিশু করোনা আক্রান্ত কি না, এ সব নিয়েও ওয়ার্কশপ করলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন করে তুলতে ও করোনা পরবর্তী সময়ে কীভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে আরও, তা নিয়েই ওয়ার্কশপে আলোচনা হল।


করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল দেশ। এর ওপর আবার তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা। তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে কলকাতা পুরসভাও। রবিবার অহীন্দ্র মঞ্চে করোনার থার্ড ওয়েভ-এর মোকাবিলা ও শিশুরা আক্রান্ত হলে তাদের চিকিত্‍সা নিয়ে ওয়ার্কশপের আয়োজন করে কলকাতা পুরসভা।  চিকিত্‍সকদের পরামর্শ, শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা দরকার, জ্বর আছে কি না, খাবারে অনীহা রয়েছে কি না, শ্বাসকষ্টে ভুগছে কি না। 


পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের অধিকর্তা অপূর্ব ঘোষ বলেন, ‘বাচ্চার বডি বেশি  রিঅ্যাক্ট করে না। পার্লস অক্সিমিটার বেশি কাজ করে না। বেশি জ্বর হলে, খাবার না খেলে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে কি না, দেখতে হবে। আমি সেফ হোমের পক্ষপাতী নই।’


চিকিত্‍সকরা বলছেন, শিশুদের ক্ষেত্রে চিকিত্‍সায় দেরি করা যাবে না। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর যোগীরাজ রায় বলেন, 'বাচ্চাদেরও কোমর্বিডিটি থাকে। তাই চিকিৎসায় কোনওভাবেই তাঁদের ক্ষেত্রে দেরি করা যাবে না একদমই।’


শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও নিয়মিত নজরদারিতে মায়ের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিত্‍সায় বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।


এই ওয়ার্কশপে পুরসভার চিকিত্‍সকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুর কমিশনার ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। পুরসভার চিকিত্‍সকরা মূলত জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেন। তাঁদের জন্যই করোনা ঠেকাতে শিশুদের স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে এই ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয় বলে পুরসভা সূত্রে খবর।