রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলল। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয়ে কেওয়াইসি আপডেটের নামে ৩ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল খাস কলকাতায়। আসানসোল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের এক যুবককে।


ব্যাঙ্কের KYC আপডেট করতে বলে ফোন আসছে? নিজেকে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বা কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে ফোন করছে কেউ? এখনই সাবধান হন! না হলে বড়সড় প্রতারণাচক্রের খপ্পরে পড়তে পারেন আপনি। ইতিমধ্যেই এমন ভুরিভুরি অভিযোগ উঠেছে রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।


সম্প্রতি এমনই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বাগুইআটির বাসিন্দা রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী নামে এই ব্যক্তি। রমাপ্রসাদ চক্রবর্তীর দাবি, গত ২৪ মে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করেন। বলা হয়, KYC আপডেট করতে। তাঁর অভিযোগ, KYC আপডেটের নামে ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ডের নম্বর ও ফোনে আসা OTP-ও জেনে নেয় অভিযুক্ত। আর এর পরই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। শেষে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত ওই ব্যক্তি।


তদন্তে নেমে, আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্রের হদিশ পায় পুলিশ। আসানসোল থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজেশকুমার মণ্ডল (২৫) নামে এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত যুবক ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এর নেপথ্যে বড়সড় আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্র রয়েছে।সেই চক্রে আর কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 



এর আগে নদিয়াতেও IAS পরিচয় দিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। FIR দায়েরের দু দিনের মাথায় নদিয়ায় ভুয়ো IAS গ্রেফতার। পুলিশ সূত্রে খবর, নবদ্বীপের একটি বেসরকারি লজ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অভিযুক্তকে ছ-দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন কৃষ্ণনগর আদালতের বিচারক। 


কল্যাণীর বাসিন্দা এক যুবকের অভিযোগ ছিল, চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেন তিনি। অভিযোগকারী অভিজিত্‍ রায়ের কথায়, 'গাড়িতে নীলবাতি লাগিয়ে আসেন। সন্দেহ হওয়ায় টাকা ফেরত চাই, পাইনি। এরপর অভিযোগ জানাই।'