কলকাতা: বাগবাজারে মায়ের বাড়ির উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হল বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প। প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে লক্ষ্যমাত্রা। বাগবাজার মায়ের বাড়ির তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদেরই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
১৮৯৮ সাল। প্লেগে তখন উজাড় হয়ে যাচ্ছে কলকাতা। স্বামী বিবেকানন্দের নির্দেশে সেবার কাজ শুরু করে রামকৃষ্ণ মিশন। সেদিনের তরুণ সন্ন্যাসী প্রস্তাব দিয়েছিলেন, আর্ত মানুষের সেবায় টাকা জোগাড় করতে, বিক্রি করে দেওয়া হোক বেলুড়ে মঠ তৈরির জন্য কেনা ২২ বিঘা জমি।
যদিও, এই জমি সেদিন বিক্রি হয়নি। নির্ধারিত জায়গাতেই গড়ে ওঠে বেলুড় মঠ। সঙ্কটকালে তাঁদের যে দায়িত্ব, তার থেকে বিন্দুমাত্র টলেনি রামকৃষ্ণ মিশন। করোনা মহামারীকালে, রামকৃষ্ণ মঠ বাগবাজার মায়ের বাড়ির উদ্যোগে বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মূলত, স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যই এই ফ্রি ভ্যাকিনেশন কর্মসূচি। তবে, অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, আশপাশের ঝুপড়ি এলাকার বাসিন্দাদের। প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার গ্রাহককে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য আজ পানাগড়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে বলেন , ভ্যাকসিন সকলেই পাবেন। তাই ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষকে হুড়োহুড়ি না করার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
বুধবার পানাগড়ে একটি বেসরকারি কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ৪ কোটির বেশি টিকাকরণ হয়ে গেছে।
মমতা বলেন, ‘ভ্যাকসিন রাজ্যের হাতে নেই। কেন্দ্র পাঠালে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। গতকাল রাজ্যে ৪ কোটির বেশি টিকাকরণ হয়ে গেছে। তৃতীয় ঢেউয়ের দিকে নজর রেখে ১৪ কোটি টিকা প্রয়োজন। শিশুদের কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।’
রাজ্যে ভ্য়াকসিন হয়রানির ঘটনা নিত্য ঘটে চলেছে। গতকাল জলপাইগুড়িতে ভ্যাকসিন কেন্দ্রে হুড়োহুড়িতে জখম হন ১৯ জন। আলিপুরদুয়ারেও ঘটেছে হয়রানির ঘটনা। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে ভ্যাকসিন টোকেন নেওয়ার লাইনেও শুরু হয় অশান্তি। কে আগে কুপন নেবেন তা নিয়ে লাইনে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। বেধে যায় হাতাহাতি। আর এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, সকলেই ভ্যাকসিন পাবেন।