কলকাতা: সিআইটি রোডে (CIT Road) পাঞ্জাব ন্যাশনাল (PNB Bank) ব্যাঙ্কের শাখায় এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা গায়েব করার (Bank Fraud) অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১১ নভেম্বর ওই অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক বেআইনি লেনদেনের প্রমাণ মেলে। গ্রাহকের কাছে ব্যাঙ্কের নাম করে ফোন করে প্রতারকরা। বিভিন্নভাবে তাঁকে বিভ্রান্ত করে জেনে নেওয়া হয় আইডি ও পাসওয়ার্ড। এর পর অ্যাকাউন্ট (Bank Account) থেকে ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হয় প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা। এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা গেছে। প্রতারণার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (Cyber Cell)। চক্রের বাকিদের খোঁজ চলছে। 


অন্যদিকে আরও একটি প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। বিষধর সাপের (snake) ভয় দেখিয়ে অবাধে চলছিল প্রতারণা, হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল হাজার হাজার টাকা (Fraud)। চক্রের ৪ জনকে পাকড়াও করল পুলিশ। ঘটনা দুর্গাপুরের (Durgapur)। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রামের মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকে হাতিয়ার করে শহরের বেশ কিছু জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল ৫ সাপুড়ের একটি দল।


আগে থেকেই খোঁজ খবর নিয়ে এরা ঘুরে ঘুরে পৌঁছত গৃহস্থ্যের বাড়িতে। নিশানায় থাকতেন মহিলারা। কখনও স্বামী-সন্তানের ক্ষতির ভয়। কখনও গৃহস্থের অমঙ্গলের কথা বলে শিকড় বাকরের টোটকা দিত এরা, বিনিময়ে নিতেন টাকা। শেষ নয় এখানেই এরপর বিষধর সাপকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে ফের মোটা টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে এই সাপুড়ের দলের বিরুদ্ধে। 


মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর থানার (Durgapur Police Station) অন্তর্গত ধোবিঘাট এলাকায় সন্দেহজনকভাবে পাঁচ সাপুড়েকে ঘোরাঘুরি করতে দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর তাড়া করেন স্থানীয়রা। চারজন পালিয়ে গেলেও, ধরা পড়ে যায় পিয়ারুল মাল নামে এক ব্য়ক্তি। জানা গিয়েছে পূর্ব-বর্ধমানের আউশগ্রামের (Ayushgram) সোয়াইগ্রামের বাসিন্দা পিয়ারুল। তাঁকেই হাতে নাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। চলে গণপ্রহার।


তড়িঘড়ি পুলিশ পৌঁছে পিয়ারুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ধৃত পিয়ারুলের কাছ থেকে ছ-টি ভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত পিয়ারুল মালকে দুর্গাপুর থানার পুলিশ বন দফতরের হাতে তুলে দেয়। গ্রেফতার আরও ৩। যদিও অভিযুক্ত পিয়ারুল মাল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।