ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: কলুটোলায় ২০ ঘণ্টা পরও বহুতলের আগুন পুরোপুরি নেভেনি। আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও বিভিন্ন জায়গায় এখনও পকেট ফায়ার রয়েছে।  আজ সকালেও আগুন নেভানোর কাজ করছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন।                  


এর মধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্বেগে রেখেছে বাড়ির অবস্থা।  গতকাল রাতেই বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। বাড়ির বহু জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল।  প্লাস্টিকের খেলনা সহ যে সব সামগ্রী রাখা ছিল, সেখান থেকে এখনও ধোঁয়া বেরোচ্ছে।


সোমবার কলুটোলা স্ট্রিটে একটি গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। এলাকায় প্রবল আতঙ্ক। আজ সকালে ওই গুদামে আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। ঘিঞ্জি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের কারণে আতঙ্কে আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা বেরিয়ে আসেন। 


আরও পড়ুন, বিপর্যয়ের পর ফের চালু, ক্ষমা চাইল হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুক


কখনও গার্ডেনরিচ, কখনও লেকটাউন জয়া সিনেমা, কখনও আবার নিমতলা ঘাট স্ট্রিট। একের পর এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছেন শহর। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের জেরে নড়েচড়ে বসে দমকল দফতর। বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে ফায়ার অডিট করানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। গার্ডেনরিচের পর শহরে পরপর দু’দিন, ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর নিমতলা ঘাট স্ট্রিট ও গার্ডেনরিচে, বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসল দমকল দফতর। বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে ফায়ার অডিট করানোর সিদ্ধান্ত নিল তারা। দমকল সূত্রে দবি, দুটি জায়গাতেই পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। ফায়ার লাইসেন্স বা অন্যান্য কাগজপত্র কোথাও মেলেনি।  


সম্প্রতি দমকল দফতরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, গোটা রাজ্যে ফায়ার অডিট করাতে সাহায্য নেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থার।  কেন এই সিদ্ধান্ত? দমকল সূত্রে খবর, গোটা রাজ্যে দোকান, বাজার, শপিং মল, আবাসন, সহ বিভিন্ন জায়গায় ফায়ার অডিট করানোর ক্ষেত্রে কর্মীসংখ্যা সীমিত। তাই এজন্য বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হবে।