কলকাতা:  মুচিপাড়ায় তৃণমূলের নেতার স্ত্রীর ইভিটিজিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল ক্লাব সদ্যস্যদের বিরুদ্ধে। মদতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মারধর ও চুরির অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। মুচিপাড়ায় একটি প্লাইউডের দোকানে হামলার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এফআইআরের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেতাকে। একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ কংগ্রেস নেতা, এবং তারপর তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রদীপ ঘোষের বাড়ির সদর দরজা ভেঙে ঢুকে তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয় ভর দুপুরে। বাড়ির চারিদেক ছেয়ে যায় পুলিশে। আর জানলার গরাদের পিছনে বসে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেন বিজেপি নেতা । তিনি স্পষ্টতই বলে দেন, তিনি বেরোবেন না। পুলিশের ডাকে সাড়া দেবেন না। পারলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করুক। এরপর ঠিক তাই হয়। দরজায় লাথি মেরে ধাক্কা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে পুলিশ। তারপর টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। ঠিক যেন টানটান চিত্রনাট্য !! 



সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে এই ধুন্ধুমারের সূত্রপাত তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরের অভিযোগ ঘিরে। শুক্রবার সকালে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ মুচিপাড়া থানায় যান।  কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে চলে আসেন নিজের বাড়িতে। তারপরই এই ঘটনা। এরপর রাজনৈতিক মহল থেকে নানারকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। কড়া ভাষা সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'সজলদা কি মোস্ট ওয়ান্টেড নাকি ! বিজেপি করলে এখানে বাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরা আবার গণতন্ত্র করতে দিল্লি যায় !!' পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। 

অন্যদিকে তৃণমূল শিবির থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফিরহাদ হাকিম বলেন, কেউ মহিলাদের হাত ধরে টানলে তাকি কি পুলিশ দুধ খাওয়াবে !! এই প্রসঙ্গে রাকেশ সিংহ, পামেলা গোস্বামী ধরা পড়ার ঘটনাও মনে করিয়ে দেন ফিরহাদ। 

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেন, ' সজল এর মধ্যে না জড়ালেই পারতেন, তবে  দরজা ভাঙার দৃশ্য অবাঞ্ছিত '