সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : নব্বইয়ের কাছে ডিজেলের দাম, তার ওপর বেড়েছে জরিমানার অঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে, রাস্তায় প্রায় দেড় হাজার বেসরকারি বাস নামছে না বলে মালিক সংগঠনের দাবি। রাস্তায় বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় ভোগান্তির মুখে পড়ছেন যাত্রীরা। 


কোথাও ফাঁকা বাসে খবরের কাগজ পড়ছেন কেউ। কোথাও আবার বাসে ঝুলছে তালা! এখনও নব্বইয়ের কাছে ডিজেলের দাম। পাশাপাশি অনেকটাই বেড়েছে নিয়মভঙ্গে জরিমানার অঙ্ক। তার জেরেই কলকাতার রাস্তায় প্রায় দেড় হাজার বেসরকারি বাস নামছে না বলে দাবি মালিক সংগঠনের। এর ফলে, নিত্যদিন প্রবল ভোগান্তির মুখে পড়ছেন যাত্রীরা। 


জ্বালানি ও বাস চালানোর অন্যান্য খরচ বাড়তে থাকায় কিছুদিন ধরেই রাস্তায় বাসের সংখ্যা কমছিল। তার ওপর নতুন জরিমানা কাঠামো তৈরি হওয়ায় আরও কমে গিয়েছে বাসের সংখ্যা। এনিয়ে এক বাস চালক বলেন, সামান্য টাকা পাই, কেস বাড়িয়েছে। ফাইন দেব না বাস চালাব। একটা গাড়ি চালিয়ে ২০০ টাকা পাই।


এদিকে, করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমায় স্কুল, কলেজ থেকে অফিসে হাজিরা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা কমে যাওয়ায় নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রীদের।  এক যাত্রী বলেন, অনেক বাস থাকত। এখন ফাঁকা, অসুবিধা তো হচ্ছেই।


বাসের আকালের একই ছবি দেখা গেল আনন্দপুর বাসস্ট্যান্ডে। আনন্দপুরে ৫ মিনিটে বাস চলত। এখন সম্পূর্ণ ফাঁকা যাচ্ছে। বাসের সংখ্যা কমছে। আগে ৫ মিনিট/৬ মিনিট, এখন আধঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।


বাসমালিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁরা। সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস-এর সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা বলেন, জরিমানার ভয়ে বাস কমে যাচ্ছে। তেলের দাম বেড়েছে। যাত্রী কম। সামর্থ নেই বেরোনোর। আমাদের ৮০০ বাস চলছে না। সবমিলিয়ে ১৫০০ বাস রাস্তায় নেই। পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। খরচ কমানো হোক। সিএফ সার্টিফিকেট নবীকরণে।


সবমিলিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কবে? সদুত্তর দিতে পাচ্ছেন না কেউই।