পার্থপ্রতিম ঘোষ ও ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: শরীরে ১৮টির বেশি ছুরির আঘাত। বুকে, পেটে, হাতে গলায় এলোপাথাড়ি কোপ। শৌচাগারের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার যুবকের দেহ। পাশেই পড়ে ছিল রক্তমাখা ছুরি। রবীন্দ্র সরোবর থানা এলাকায় বুধবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


কিন্তু কীভাবে হল এই মৃত্যু? মৃতের পরিবারে দাবি, খুন করা হয়েছে ২৪ বছরের ওই যুবককে। যদিও পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।


পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে রবীন্দ্র সরোবর থানা এলাকার এই ক্যাফের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় কসবার বাসিন্দা, ক্যাফের কর্মী রোহিত অধিকারীর রক্তাক্ত দেহ। তাঁর সহকর্মীরাই দীর্ঘক্ষণ রোহিতকে শৌচাগার থেকে বেরোতে না দেখে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করেন। দেহের পাশে পড়েছিল রক্তমাখা একটি ছুরি।


যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ক্যাফেতে ঢোকার পর একটি ছুরিতে ধার দেন রোহিত। তারপর মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে ক্যাফের বাইরে বেরিয়ে আসেন। ফের ক্যাফেতে ঢুকে ছুরি হাতে নিয়ে চলে যান শৌচাগারে। এর থেকেই তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, নিজের শরীরেই ১৮ বারের বেশি ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই কর্মী। মৃতের মোবাইল ফোনটিও বৃহস্পতিবার ক্যাফের পাশের নর্দমা থেকে উদ্ধার হয়েছে। তবে মৃত্যুর আগে তিনি কার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন? আত্মঘাতী হয়ে থাকলে কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন, সে সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। 


অন্যদিকে, পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে অফিসের মধ্যেই খুন হলেন এক রেলকর্মী। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। মৃতের নাম চন্দন পাসোয়ান। স্থানীয় সূত্রে খবর, কুলটির চিনাকুড়ি এলাকায় রেলের আবাসনে একাই থাকতেন রেলের বিদ্যুৎ বিভাগের ওই কর্মী। তাঁর পরিবার থাকে হাওড়ায়। গতকাল রাত ১০টা নাগাদ আবাসনের ভিতর থেকে বছর পঞ্চান্নর রেল কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন ছিল। খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণও রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।