আবীর দত্ত, কলকাতা: চিত্তরঞ্জন সেবাসদন হাসপাতালে শিশু বদলের অভিযোগ ৫ চিকিৎসককে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করল হাসপাতাল। শিশুর মরদেহ সৎকার করা হয়নি, মর্গেই আছে, দাবি করেছে হাসপাতাল। পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে দোষ প্রমাণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানালেন অধ্যক্ষ। হাসপাতালের দাবি নিয়ে পরিবারের প্রশ্ন, 'আগে বলা হয়েছিল শেষকৃত্য হয়ে গিয়েছে, এখন বলছে মর্গে দেহ।  


উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট বজবজের বাসিন্দা তরুণীর শিশু চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে শিশু বদলের অভিযোগ ওঠে। পরিবারকে দেখানো মৃত সন্তান তাঁর নয় বলে দাবি করেন সদ্যোজাতর মা। ন্যায়বিচারের আশায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ-পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। জানা যায়,  ২ অগাস্ট পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তরুণী। তার ৪ দিন পর পরিবারকে জানানো হল, মৃত্যু হয়েছে সেই সন্তানের।



এই মৃত সন্তানকে ঘিরেই শিশু বদলের অভিযোগ ওঠে চিত্তরঞ্জন সেবাসদন হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ, একঝলক দেখানো হয়েছিল সদ্যোজাতকে। তাও তার মাকে দেখানো হয়নি। তা ছাড়া, শিশুর দেহও তাঁদের হাতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগকারী মা পারমি দাসের অভিযোগ, 'আমার বাচ্চা বদল করা হয়েছে। জন্মানোর পর চার দিন অন্য জায়গায় বাচ্চা অন্য জায়গায় ছিল। মারা গিয়েছে আমাকে মৃত বাচ্চা দেখানো হয়নি।'


পরিবারের অভিযোগ, মৃত বাচ্চার একটা ছবি তুলে রেখেছিলেন তাঁরা। সেই ছবি দেখেই ওই সন্তান তাঁর নয় বলে সন্দেহ হয় মায়ের। ন্যায়বিচারের আশায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের কাছে গেলেও, লাভ হয়নি বলে দাবি করেছিল পরিবার। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তের আশ্বাস দেয় চিত্তরঞ্জন সেবাসদন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিত্তরঞ্জন সেবাসদন হাসপাতাল প্রিন্সিপাল আশিস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ মারাত্মক। লিখিত অভিযোগ পেলে, তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয় পুলিশের তরফেও।


উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংবাদের শিরোনামে উঠেছে আমরিও। আমরি-র ৩টি হাসপাতালে আইটিইউ বেডের ৩ রকম চার্জ। একই পরীক্ষার জন্য ৩ রকম চার্জ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর এর জেরেই রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের অভিনব শাস্তি আমরি হাসপাতালকে। অতিরিক্ত বিলের অভিযোগের ভিত্তিতেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমরি হাসপাতালকে সাজা শোনায় রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। জানানো হয়, তিন হাসপাতাল লাগোয়া তিনটি বস্তিতে শিশুদের জন্য করতে হবে মেডিক্যাল ক্যাম্প। ২ মাসের জন্য শিশুদের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্প বাধ্যতামূলক। ১২ বছরের কম বয়সিদের জন্য করতে হবে বেবিফুডের ব্যবস্থা। অসুস্থ শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করতে হবে বিনামূল্যে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন।