আবীর দত্ত, কলকাতা : আবার সেই ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব, আবারও প্রতারণার ফাঁদ। বন্ধুর মুখোশে প্রতারক।  ফেসবুকের ছবি নিয়ে বিকৃত ভিডিও তৈরি করে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ উঠল শহর কলকাতাতেই। এবার প্রতারণার ফাঁদে এক যুবক। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যকসেপ্ট করেছিলেন নির্দ্বিধায়। কিন্তু সেটা যে কতটা ভুল ছিল, তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন এই যুবক। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি সুপার ইম্পোজ করে ব্ল্যাক মেলিংয়ের অভিযোগ নিয়ে, পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বরানগরের বাসিন্দা। এবিপি আনন্দকে একান্ত সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, ১৫ দিন আগে তাঁর বাবা মারা গেছেন। এরই মধ্যে অজানা এক অ্যাকাউন্ট থেকেই আসে বন্ধুত্বের প্রস্তাব। সেই রিকোয়েস্ট তিনি অ্যাকসেপ্টও করেন তিনি। এরপর একদিন আসে গুড মর্নিং বার্তা, যেমনটা প্রায়ই এসে থাকে সবার কাছে। সাধারণ এই গ্রিটিংস মেসেজের উত্তর দেন তিনি আগে-পিছে না ভেবেই। 

অভিযোগকারীর বক্তব্য অনুসারে, এরপর তাঁর কাছে আসে একটি হোয়াটস অ্যাপ কল। সেটি রিসিভ করলেও, ওপারে কে আছে, তিনি কিছুই দেখতে পাননি। কোনও শব্দও শোনা যায়নি। এরপরই ঘটে বিপদ !


অভিযোগকারীর দাবি, এর ঠিক ১৫ মিনিট পর আবার হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল আসে যুবকের কাছে। অভিযোগ এক মহিলা, তাঁর ছবি সুপার ইম্পোজ করে ভিডিও পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে। তখন তিনি জানতেও চান তার পরিচয়। কিন্তু সেসব তো সে বলেইনি। উপরন্তু টাকা দাবি করে। সঙ্গে টাকা না দিলে বদনাম করে দেওয়ার হুমকি! না দিলে, বাড়ির লোকজন ও বন্ধুদের কাছে আপত্তিকর ভিডিওটি পাঠিয়ে দেবে বলেও হুমকি দেয়। 


যুবকের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বরানগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তের নাগাল পেতে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে তারা।

এর আগে জুন মাসে বাগুইআটি থেকে এমনই একটি অভিযোগে গ্রেফতার হয় এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। অভিযোগকারিণীর দাবি ছিল, শশাঙ্ক প্রধান নামে এক যুবক তাঁর ছবি তুলে সুপার ইম্পোজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। এমনকি, আরও অনেক মহিলার ছবি এভাবে সুপারইম্পোস করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আপলোড করা হত বলে অভিযোগ।