আবীর দত্ত, কলকাতা: উত্তরাখণ্ডের লামখাগা পাসে উদ্ধার হল হরিদেবপুরের বাসিন্দা তনুময় তিওয়ারির দেহ। এখনও খোঁজ মেলেনি তনুময়ের মামা সুখেন মাঝির। 


বাড়ির একমাত্র ছেলে তনুময় মামা ও বন্ধুদের নিয়ে ১১ অক্টোবর কলকাতা থেকে রওনা দেন। পরিবারের দাবি, ১৪ অক্টোবর শেষবার কথা হয়। তারপর থেকেই মামা-ভাগ্নের খোঁজ মিলছিল না। 


২১ অক্টোবর পরিবারের সদস্যরা তনুময়ের মৃত্যুসংবাদ পান। গতকাল দেহ সনাক্ত হয়। এই নিয়ে তিনবার ট্রেকিংয়ে যান তনুময়। করোনা আবহে গতবছর না যেতে পারায় মায়ের নিষেধ সত্ত্বেও এবার ট্রেকিংয়ে যান তিনি। পাহাড়ের নেশাই কাল হল, আক্ষেপ পরিবারের।


লামখাগা পাস থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ১২ জনের দেহ। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের ৬ জন। বরফ চাপা অবস্থায় একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: লামখাগা পাসে মিলল রাজ্যের ৫ সহ ১১ জনের মৃতদেহ, বরফের মধ্যে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার এক


লামখাগা পাস উত্তরাখণ্ডের অন্যতম দুর্গম এলাকা। এই পাস পেরিয়েই উত্তরাখণ্ডের হরশিল থেকে যাওয়া যায় হিমাচল প্রদেশের কিন্নরে।


পুজোর সময় সেখানেই ট্রেক করতে যায় ১৭ জনের দলটি। তুষারধসের কারণে গত ১৮ অক্টোবর তাঁরা পথ হারান তাঁরা। দলে ছিলেন স্থানীয় গাইড এবং পোর্টার। 


২০ অক্টোবর তল্লাশি শুরু করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজে নামে ভারতীয় বায়ুসেনাও। এখনও পর্যন্ত ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় এখনও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। 


বাগেশ্বর জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, বাঙালি অভিযাত্রীদের মৃতদেহ সনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে এখনও তা সমতলে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।  


২৪ তারিখ কলকাতা ফেরার কথা ছিল অভিযাত্রীদলের। তার বদলে ফিরবে তাঁদের দেহ। বাগেশ্বর কন্ট্রোল রুম সূত্রে খবর, বাঙালি অভিযাত্রীদের সঙ্গে স্থানীয় এক গাইড ছিলেন। তিনি এখনও নিখোঁজ। যদিও চারজন মালবাহক ফিরে আসতে পেরেছেন।


উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৭।