সুমন ঘড়াই, কলকাতা: রুখতে হবে অবৈধ বালি খাদান (Sand)। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্য প্রশাসন (State Government)। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, ওভারলোডিং (Overloading) বন্ধ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব আরটিওকে।


বেআইনি ঘাট থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে বালি, পাথর। কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না বলে, আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত জুলাই মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বালি খাদান নিয়ে নতুন স্কিম। স্থানীয় মাফিয়াদের জন্য করতে পারছি না, বালি, কয়লা, পাথর। যতটা তোলার তার চার ডবল নিয়ে পালিয়ে যায়। স্যান্ড মাইনিং পলিসি। মিনারেল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের কাছে দেওয়া হচ্ছে। ’’


আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার জঙ্গলে খোঁজ মিলল নীল গাইয়ের, পাঠানো হল কলকাতায়


মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো খননের নজরদারির দায়িত্ব, জেলাশাসকদের হাত থেকে বর্তেছে মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবের কাছে। নবান্নে সূত্রে খবর, নজরদারি বাড়ানোর পর, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার পাশাপাশি, ডুয়ার্সের একাধিক এলাকা থেকে বালি চুরির অভিযোগ এসেছে। অবিলম্বে সেইসমস্ত অবৈধ বালি খাদান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। অবৈধ কারবারিদের সনাক্ত করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


বেআইনি বালিঘাট থেকে বালি তোলার পর, ওভারলোডিংয়ের অভিযোগও নতুন নয়। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, ওভারলোডিং বন্ধ করতে, আরটিও বা আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিকদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কত ট্রাক ধরা হচ্ছে এবং জরিমানা কত নেওয়া হচ্ছে, তার রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে নবান্নে।


উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে দুর্গাপুরে দামোদরের ওয়ারিয়া ঘাট থেকে বেআইনি বালির কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় বালি ভর্তি কয়েকটি ট্র্যাক্টর। এর আগেই বালি পাচারকাণ্ডের মূল পাণ্ডা সুজয় পাল ওরফে কেবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


আরও পড়ুন: চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে হাতে হ্যারিকেন নিয়ে অভিনব বিক্ষোভ ডিইএলইডি প্রশিক্ষিতদের