হিন্দোল দে, কলকাতা: এবার দুর্ঘটনার কবলে পুলিশের ভুয়ো স্টিকার লাগানো গাড়ি। গতকালের ঘটনা। গাড়ির মালিক সিভিক ভলান্টিয়ার ও চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাঁশদ্রোণীর কালীবাড়ি ব্রিজের কাছে পরপর দুটি গাড়িতে ধাক্কা মারে গাড়িটি। এরপরই জানা যায় গাড়িটি ভাড়া খাটছিল।
এ যেন কেঁচো খুড়তে কেউটে। গাড়িতে পুলিশ স্টিকার লাগিয়ে, ব্যবহার হচ্ছিল যাত্রী পরিবহণে। দুর্ঘটনার কবলে পড়তেই জালিয়াতির পর্দাফাঁস। এবার কলকাতায় ভুয়ো পুলিশের গাড়ির হদিশ মিলল। বুধবার সকালে তখন গমগম করছে বাঁশদ্রোণীর কালীবাড়ি ব্রিজ এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশের স্টিকার লাগানো বেপরোয়া গাড়ি, পরপর দুটি গাড়িতে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, মন্দিরে ঢুকে পড়ে। গুরুতর জখম হন এক ভ্যানচালক।
পুলিশ স্টিকার লাগানো এই গাড়িটি ধাক্কা মারে পরপর দুটি গাড়িতে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আর একটু হলে আমাকেই মেরে দিত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কমিশনার, ডিসি এসএসডি ও ডিসি ট্রাফিক! তদন্তকারীরা জানতে পারেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির মালিক এক সিভিক ভলান্টিয়ার। গাড়ির মালিক ও চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) রশিদ মুনির খান জানিয়েছেন, এই গাড়িতে যাত্রী তোলা হত, দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রের কথায়, এটি ভুয়ো পুলিশ স্টিকার লাগানো গাড়ি, এই ঘটনার পর সর্বত্র নজরদারি বাড়াব, সেই নির্দেশ দিয়েছি, এখানে সিসিটিভ বসানো হবে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৪২০ এবং ৪৯০ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
উল্লেখ্য, আইপিএস পরিচয়ে ফেসবুক প্রোফাইল খুলে আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস হয়েছে আজই। রাজস্থান থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল। ধৃতের নাম রাহুল খান। অভিযোগ, ফেসবুক প্রোফাইলে নিজেকে আইপিএস বলে দাবি করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় ওই প্রতারক। ফাঁদে পা দেন এ রাজ্যের বাসিন্দারাও। লালবাজারের সাইবার সেলে অভিযোগ জমা পড়ে। তদন্ত নেমে রাজস্থানের আলওয়ার থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডে রাজ্যে আনার পর ধৃতকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই চক্রে আর কারা জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।