কলকাতা: আদালতে স্বস্তি শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ হিমাংশু মান্নার। জানানো হল, পুলিশ এখনই গ্রেফতার করতে পারবে না হিমাংশু মান্নাকে। উল্লেখ্য, কাঁথি থানার ত্রিপল চুরি, ভুয়ো নিয়োগপত্র এবং চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে শুভেন্দু হিমাংশু মান্নার বিরুদ্ধে। সিবিআই কেসের তদন্ত করলেও আপাতত তাঁকে যেন গ্রেফতার না করা হয় এই আবেদন জানিয়ে আদালতে একটি মামলা করেন হিমাংশু। 


সেই মামলারই শুনানিতে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হিমাংশুকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিল আদালত। যদিও একই অভিযোগের মামলার তদন্ত চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন অন্য বিচারপতিরা। ‘হিমাংশুকে কেন ছাড় দেওয়া হবে?’ এ দিন আদালতে এমনই প্রশ্ন তোলেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী। তাঁরা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন, তদন্তের নামে যখন খুশি ডেকে হয়রানি করতে পারবে না পুলিশ।’ এ প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার আরও মন্তব্য, ‘তদন্ত চলবে, কাল তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখাও করবেন হিমাংশু।’ উল্লেখ্য, ৩ সপ্তাহ পর হলফনামা দেবে রাজ্য। উল্লেখ্য এর আগে ১লা জুলাই ভার্চুয়ালি তাঁর আত্মসমর্পনের আবেদন খারিজ করে কাঁথি আদালত।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বেকায়দায় পড়েন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা শ্যামল আদক। হলদিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে পলাতক ঘোষণা করে হলদিয়া মহকুমা আদালত। শ্যামল আদকের হলদিয়ার ফ্ল্যাটে গিয়ে নোটিস দেয় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। এর আগে তাঁর অফিস সিল করে দিয়েছিল হলদিয়া থানার পুলিশ।


বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন শ্যামল আদক। ভোটের পর তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ওঠে। হলদিয়ার একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এর পর থেকেই হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আর খোঁজ মিলছিল না। আদালতের নোটিসের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছে বিজেপি।


দুর্নীতি মামলায় চাপ বাড়ে শ্যামল আদকের। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে এবার পলাতক ঘোষণা করে আদালত। হলদিয়া মহকুমা আদালতের নোটিস শ্যামল আদকের ফ্ল্যাটের দরজায় সেঁটে দিয়ে আসে পুলিশ। ফ্ল্যাটে হলদিয়া থানার পুলিশ নোটিস দিয়ে যায়, তাঁর দুটি ফ্ল্যাট সিল করে দেওয়া হয়েছে।