কলকাতা: গভীর রাতে কেষ্টপুরে বিধ্বংসী আগুন। ভস্মীভূত ৩১টি অস্থায়ী দোকান। আগুন নেভাতে গিয়ে জখম হন ২ দমকল কর্মী-সহ ৭ জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত ২টো নাগাদ কেষ্টপুরের ভিআইপি রোডের ধারে শতরূপা পল্লিতে অস্থায়ী কাঠের আসবাবের দোকানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। 


দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের খাবার দোকান-সহ অন্যান্য দোকানে। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। সিলিন্ডার ফেটে জখম হন ২ দমকল কর্মী-সহ ৭ জন। একসময় পাশের ঝুপড়িতেও আগুন ছড়িয়ে আশঙ্কা দেখা দেয়।


দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন ঘণ্টাতিনেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও পুড়ে যায় ৩১টি অস্থায়ী দোকান। রাতে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। 


স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ করেন। যদিও মন্ত্রীর দাবি, এতগুলো ইঞ্জিন জোগাড় করতে সময় লেগেছে, দমকল কর্মীদের তৎপরতায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রুটিরুজি হারিয়ে দিশেহারা বহু পরিবার। 


চারদিন আগে, অর্থাৎ, ২১ তারিখ ভোরে বেলেঘাটা থানা এলাকায় কলকাতা পুলিশের ডিসি ইএসডি-র অফিসের দোতলায় আগুন লাগে। 


দফতরের কয়েকটি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। কয়েকজন পুলিশ কর্মী আটকে পড়েন। ৫ জন পুলিস কর্মীকে দমকলকর্মীরা উদ্ধার করেন। 


দমকলের ৪টি ইঞ্জিন বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।  তবে আশঙ্কা, আগুনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথিপত্র পুড়ে গিয়ে থাকতে পারে। 


তার ঠিক আগের দিন, অর্থাৎ ২০ তারিখ, মহেশতলায় রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। বিস্ফোরণে আহত হন ৫ শ্রমিক। 


বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ আগুন লাগে। স্থানীয়দের দাবি, সেইসময় স্যানিটাইজার তৈরির ওই কারখানায় কাজ করছিলেন ১৫ জন শ্রমিক। 


আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে আশেপাশের কারখানার শ্রমিকরাই নিয়ে যান বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। শিল্পতালুকে আগুন লাগায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।  


আগুন নেভাতে আনা হয় রোবট। তবে আগুন লাগার সুস্পষ্ট কারণ জানা যায়নি।