হিন্দোল দে, কলকাতা: অনলাইন ক্লাস থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কটূক্তির অভিযোগ। মে মাসে, রিজেন্ট পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের আইনের ছাত্রীর। তারপর থেকে অনলাইন ক্লাস করতেই ভয় পাচ্ছেন তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ কর্তার মেয়ে,অভিনেত্রী, এবার আইনের ছাত্রী। ফের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে কটুক্তি ও অশ্লীল মন্তব্যের অভিযোগ। ছাত্রীর অভিযোগ, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তাঁরই কোনও সহপাঠী।
অভিযোগকারিণী ছাত্রী জয়িতা সরকার বলেছেন, আমি আইনের ছাত্রী। অনলাইন ক্লাসের সময়, কোনও একজন ব্যাচমেট এটা করছে।ছবি নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, অশ্লীল মন্তব্য করা হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রুপে অ্যাড করা হচ্ছে। শুধু আমি নই, আরও অনেক ব্যাচমেটের সঙ্গে এটা হয়েছে।
মে মাসে, রিজেন্ট পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আইনের এই ছাত্রী। অনলাইন ক্লাস করতে গিয়ে এমন কাণ্ড ঘটায়, এখন অনলাইন ক্লাস করাটাই কার্যত আতঙ্কের হয়ে উঠেছে তাঁর কাছে।
তিনি বলেছেন, আমি আইনের ছাত্রী, আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি এখনও অন্ধকারে আছি, কেসটার কী হল? ট্রমাতেই রয়ে গেছি। প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতেই চায়নি। মহিলা কমিশনে অভিযোগ করার পর অভিযোগ নেয়।
করোনাকালে পড়াশোনার অন্যতম ভরসা অনলাইন ক্লাস।সেখান থেকেই, ছাত্রীর ছবির স্ক্রিনশট নিয়ে তা বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা হবে। এক্ষেত্রে হেনস্থার শিকার মহিলা। অনেক ধারা আছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে জামিন অযোগ্য মামলা হতে পারে।
রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত চলছে। একজন সন্দেহভাজনকে নোটিস পাঠানো হয়। পরে, তিনি আগাম জামিন নিয়ে নেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারিণী ছাত্রী বলেছেন, আমি আইনের ছাত্রী হিসেবে আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। পুলিশ বলছে, কোনও একজনকে ডেকে পাঠিয়েছে, তিনি জামিন নিয়েছেন। কিন্তু, কাকে ডাকা হল, তিনিই একাজ করেছিলেন কি না, তা জানতে পারলাম না। আমাকে তদন্তকারীরা কিছুই জানাননি।
এই কাণ্ড কে ঘটাচ্ছে, তা জানতে পারেনি ছাত্রী। এখন অনলাইন ক্লাস করতেই ভয় পাচ্ছেন তিনি।