ঋত্বিক মণ্ডল, কলকাতা : মেঠো রাস্তা। দু’পাশে ভেড়ি! বেশিরভাগ বাড়িতে টালির চাল। অনেক জায়গায় তো বিদ্যুৎও পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ!!
দেখে গ্রাম মনে হলেও, আসলে এও এক কলকাতা। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ড। শহরের প্রান্তিক এলাকা...। এবার এখানেই উন্নয়নের গুরু দায়িত্ব দিতে চেয়ে, সুশান্তকুমার ঘোষকে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের দু’বারের কাউন্সিলর সুশান্ত।
১২ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সামলেছেন মেয়র পারিষদের দায়িত্বও। এবার তিনি লড়বেন বাইপাস সংলগ্ন ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে। যেখানে আজও সব জায়গায় গাড়ি পৌঁছতে পারে না। তাই কোথাও কোথাও মোটরবাইকে চেপে প্রচার সাড়ছেন তৃণমূল প্রার্থী।
ওয়ার্ড বদল হয়েছে। সেই কারণে বেড়েছে প্রচার ও ব্যস্ততা। সেই ব্যস্ততা এতটাই যে, কার্যত নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। নতুন ওয়ার্ড, তাই চ্যালেঞ্জও নতুন। ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গতবার জয়ী হয়েছিলেন। এবার কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে সুশান্তকুমার ঘোষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন
কোভিড থেকে সেরেই পুর-লড়াই, এক্কেবারে ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে চলছেন স্বরূপ-পত্নী জুঁই
:
আগে তাঁর ওয়ার্ড ছিল কসবা রাজডাঙা এলাকায়। এখন বানতলা এলাকায় ওয়ার্ড। এখানে উন্নয়নের ইস্যুকেই সামনে রেখে জোরদার প্রচার করছেন তিনি। সারাদিনই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। তাই বাড়িতে গিয়ে দুপুরের খাওয়া হচ্ছে না। মধ্যাহ্নভোজ সারছেন কোনও কর্মীর বাড়িতেই ।
সুশান্তকুমার ঘোষ জানালেন, এখন দুপুরে কর্মীর বাড়তেই খেতে হচ্ছে। নতুন ওয়ার্ড। তাই প্রচারের কাজও অনেক বেশি। দুপুরের তাঁর পাতে থাকে,
- ভাত
- ডাল
- আলুভাজা
- দু’রকমের মাছ
পুষ্টিবিদদের মতে, ভাতে থাকে প্রচুর শর্করা। যা শরীরকে শক্তি জোগায়। ডালে থাকে প্রোটিন। আলুতে থাকে কার্বোহাইড্রেট। মাছে প্রোটিন, ভিটামিন-সহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ থাকে। রাতে বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে
ওই সময়ই খেতে খেতে করেন গল্পগুজব। টারপর টানা ঘুম। সকাল হলে ফের বেরিয়ে পড়েন প্রচারে।