সন্দীপ সরকার, কলকাতা: বেড আছে, ভর্তি প্রক্রিয়াও শেষ। অভিযোগ, স্রেফ নিয়মের গেরোয় চিকিৎসা পেল না নাবালক। চার ঘণ্টা বসে থেকে অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে ফিরতে হল বাবাকে। ঘটনায় কাঠগড়ায় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ (NRS Medical college)। মা ছাড়া শিশু বিভাগে ভর্তি সম্ভব নয়, জানিয়েছেন হাসপাতালের (Hospital) সুপার (Super)।
মা বা মহিলা সদস্য ছাড়া ভর্তি করা যাবে না শিশুকে। এই নিয়মে থমকে গেল ১১ বছরের ছেলের চিকিৎসা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইমার্জেন্সির (Emergency) বাইরে অপেক্ষা করে, অসুস্থ ছেলেক নিয়েই ফিরতে হল বাবাকে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে এনআরএস হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
নিয়মের গেরোয় আটকে শিশুর ভর্তি। ইউরিনের সমস্যা। ১৮ দিন ইউরিন হয় না। বাবা ছুটে এসেছেন বিহার থেকে ছেলেকে নিয়ে। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ। তবু বেডে তোলা হল না। চরম সমস্যায় পরিবার। চিকিৎসার জন্য বিহারের জামুই থেকে ছেলেকে এনআরএস-এ নিয়ে এসেছিলেন কলকাতায় কর্মরত বাবা। পরিবারের দাবি, ১৮ দিন ধরে প্রস্রাব বন্ধ নাবালকের। বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখালে ভর্তি করতে বলা হয়। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেও, সঙ্গে কোনও মহিলা থাকায় তাঁকে বেডে দেওয়া হয়নি।
তার জেরে দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত ছেলেকে নিয়ে শিশুবিভাগের ইমার্জেন্সির বাইরে বসে রইলেন বাবা। নাবালকের বাবা যুগল যাদব বলেন, "বিহার থেকে নিয়ে এসেছি। ১৮ দিন ইউরিন হয়নি, ভর্তির কাগজ হয়ে গেছে। ক্যাথিটার সরে গেছে। বলার পরও কিছুই করল না। ওর মা এখানে নেই। কোনও মহিলাও নেই। সেজন্য ভর্তি নিল না।"
রোগীর পরিবারের বন্ধু বলেন, "বাচ্চার মা না থাকলে কি চিকিৎসা পাবে না? এ তো অদ্ভূত নিয়ম। আমরা বলছি আনানোর ব্যবস্থা করছি। তাও বেডে তুলল না।" এ বিষয়ে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের বক্তব্য, শিশু বিভাগে মা অথবা বাড়ির কোনও মহিলা সদস্য ছাড়া ভর্তি করা সম্ভব নয়। বাচ্চাদের একা ভর্তি নেওয়া হয় না। মহিলা সদস্যদেরই থাকতে হয়। বাড়ির লোককে বিষয়টা জানানো হয়েছে। কিন্তু মুমুর্ষু রোগীর চিকিৎসার চেয়ে কি নিয়ম বড়? প্রশ্ন বাবার।