কলকাতা: কার্যত রাস্তা শুয়ে পড়েছেন বাম নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee), তাঁকে টেনে তুলছে পুলিশ (Kolkata Police)। বুধবার এমনই ছবি ধরা পড়ল বাম (SFI) ছাত্র-যুব সংগঠনের এসএসসি (SSC) ভবন অভিযানে।
এ দিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) মাধ্যমে স্কুলে গ্রুপ-ডি বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সল্টলেকে কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বাম ছাত্র-যুবরা। বামেদের বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিণত হল করুণাময়ী (Karunamayee) চত্বর।
গ্রুপ ডি (Group-D) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসি ভবন (SSC Bhawan) অভিযান করেন বামেরা (CPM)। দুর্নীতিতে জড়িত আধিকারিকদের শাস্তি, শিক্ষামন্ত্রীর (Education Minister) পদত্যাগের দাবিতেই বুধবার বিকেলে করুণাময়ী থেকে এসএসসি দফতর অভিযান-এর ডাক দেয় বাম ছাত্র-যুবরা। জড়ো হন কর্মী-সমর্থকরা।
সেই জমায়েত মিছিল করে কমিশনের দফতরের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলেই করুণাময়ী মোড়ে তাঁদের আটকায় পুলিশ। বারবার পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। পুলিশের সঙ্গে বচসা-ধস্তাধস্তিতে জড়ান SFI ও DYFI কর্মীরা। ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে পুলিশদের সঙ্গে বাম সমর্থকদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর পর মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজনকে টেনে ভ্যানে তোলে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গ্রুপ ডি (Group-D) বিতর্কের মধ্যেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ (SSC)। ৪৭৪ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (SSC)। জানানো হয়েছে নিয়োগপত্র পাবেন প্রার্থীরা। আরও ৭৩৮ টি শূন্যপদ পূরণ করা হবে। জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (SSC)।
অন্যদিকে, স্কুল গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই (CBI) অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) সিঙ্গল বেঞ্চ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় আপাতত অনুসন্ধান শুরু করতে পারছে না সিবিআই (CBI)। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের ওপর তিন সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এর পাশাপাশি, হাইকোর্টের নির্দেশ, মধ্যশিক্ষ পর্ষদ ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) তরফে সিবিআই-কে যে সমস্ত নথি হস্তান্তর করার কথা ছিল, তা আজই হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে মুখবন্ধ খামে জমা দিতে হবে। সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।