অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: ভরদুপুরে পাথুরিয়াঘাটা (Pathuriaghata) পিকে টেগোর স্ট্রিটে জঞ্জালস্তুপে বিস্ফোরণ (Blast at Garbage Vat)। গুরুতর জখম বছর ১৩-র কিশোর। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে সেখানে খেলছিল ওই কিশোর। তখনই তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে আহত হয় সে। 


বিস্ফোরণে ওই কিশোরের হাত এবং মুখের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে সে। আরজিকরে (RG Kar Hospital) চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ দিকে, ঘটনার পরপরই সেখানে যান বিজেপি (BJP) নেতা কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey)। কী থেকে দুর্ঘটনা ঘটল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


এর আগে, সম্প্রতি হালিশহরে গঙ্গার ঘাটে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে মৃত্যু হয় এক কলেজ পড়ুয়ার। খোঁজ মেলেনি দু'জনের। সেই ঘটনায় যদিও রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। তদনতে উঠে আসে যে, ওই গঙ্গার ঘাটে মাটির নীচে বিস্ফোরক পুঁতে রাখা হয়েছিল। তা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। 


আরও পড়ুন: Kultali News: দু'দিন পর জঙ্গলে ফিরল ডোরাকাটা, কুলতলিতে খাঁচাবন্দি বাঘকে মুক্ত করল বন দফতর


হালিশহর বিস্ফোরণ কাণ্ডে যদিও তুমুল রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। এই বিস্ফোরণের পিছনে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। প্রকাশ্যে তাঁকে 'পেশাদার খুনি' বলেও উল্লেখ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অর্জুন আবার বিস্ফোরণে জাতীয় তদন্তকারী দল (NIA)-এর হস্তক্ষেপ দাবি করেন।  


তার আগে, উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে পার্সেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। একটি ওষুদের দোকানে একটি পার্সেল বসিয়ে দিয়ে চলে যান এক টোটোচালক। দোকানের মালিক সেটি খুলতে যেতেই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে।  পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাবা। শনিবার রাতে দীঘল রায় নামে ওই ব্যক্তি ছেলে রঞ্জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আর তার পরই প্রকাশ্যে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। তাতে জখম হন দোকানে উপস্থিত তিন জন। 


বছরের শুরুতে বেআইনি বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে উত্তর চব্বিশ পরগনার নৈহাটিতে। তাতে হুগলির চুঁচুড়া পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। তা নিয়েও রাজনৈতিক টানাপোড়েন চরমে ওঠে।