পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: সাতসকালে ময়দান, বাবুঘাট চত্বরে সাইকেল চড়ে ঘুরলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। সঙ্গে ছিলেন জয়েন্ট কমিশনার ক্রাইম মুরলীধর শর্মা।


বুধবার ময়দান এলাকায় প্রাতর্ভ্রমণকারীকে কোপ মেরে দামী মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই ময়দান এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করেছে কলকাতা পুলিশ।


নিরাপত্তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রবিবার সকালে ময়দান চত্বর, ফোর্ট উইলিয়ামের আশেপাশের এলাকা থেকে শুরু করে বাবুঘাট, প্রিন্সেপ ঘাট চত্বরে সাদা পোশাকে সাইকেল চড়ে ঘুরে বেড়ান পুলিশ কমিশনার।


গত বুধবার, সাড়ে ৫টা নাগাদ ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেটের কাছে ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেটের কাছে এক প্রাতর্ভ্রমণকারী তরুণকে ধারাল অস্ত্রের কোপ মেরে দামী মোবাইল ফোন ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। 


পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছিলেন বড়বাজারের বাসিন্দা ২৪ বছরের তরুণ হরগোবিন্দ ব্যাস। তিনি যখন ময়দান থানা এলাকায় ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেটের উল্টোদিকের রাস্তায় হাঁটছিলেন, সেই সময় পিছন থেকে এসে দুই স্কুটার আরোহী  দুষ্কৃতী তাঁর দামি মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিতে যায়।  তরুণ এক দুষ্কৃতীর হাত ধরে ফেললে স্কুটার থেকে পড়ে যায় তারা। 


 



 


অভিযোগ, তারপরই তরুণের পায়ে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারে দুষ্কৃতীরা। তরুণ পড়ে গেলে তাঁর মাথা ও হাতে কোপ মারা হয়। এরপর পালায় দুই দুষ্কৃতী। অভিযোগ, তরুণের ওপর হামলার সময় আশপাশে বেশ কয়েক জন ছিলেন। কিন্তু কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেননি।


এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে আহত তরুণের প্রাথমিক চিকিত্‍সার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় মামলা রুজু হয় ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে। ময়দান থানার পাশাপাশি তদন্তে নামে লালবাজারের ডাকাতি দমন বিভাগ। 


পুলিশ সূত্রে খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওইদিন দুপুরেই বেনিয়াপুকুর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে ২ অভিযুক্ত ইমরান ওরফে তোতলা এবং শেখ সমীর হুসেন ওরফে সাব্বুকে। 


পুলিশ সূত্রে দাবি, এই ঘটনার আগে আরও ২ জনের কাছ থেকে ছিনতাই করা হয় মোবাইল ফোন ও টাকা।  ৩টি ঘটনাই স্কুটার আরোহী ২ দুষ্কৃতীর কাজ বলে অভিযোগ।