ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সতর্ক প্রশাসন। রাত ৯টার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। কতটা মানা হচ্ছে বিধিনিষেধ? তা দেখতে রাতভর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলেন এবিপি আনন্দর প্রতিনিধি।


রাত ১১টা। গিরিশ পার্ক মোড়ে নাকা চেকিংয়ের সময় দুই মত্ত বাইক আরোহীকে আটকায় জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ড। দুজনেই বিনা মাস্কে বেরিয়েছিলেন। নো এন্ট্রি ভেঙে ঢুকে পড়ায় আটকানো হয় একটি গাড়ি। চালক-সহ গাড়ির তিন আরোহীই মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে পুলিশের দাবি।


একদিনে মৃত্যু এক অঙ্কে নামলেও, পাহাড়ে ফের বাড়ছে সংক্রমণ। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বেরোনার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে কার্যকরের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। মাস্ক ছাড়া বেরোলে মহামারী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কলকাতায়।


রাত ১২টায় শুনশান হাওড়া ব্রিজ। রাতে নাকা চেকিং চালায় নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ। এদিকে রাত ১টা বেজে গেলেও পার্ক সার্কাস জমজমাট। বিনা মাস্কে বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি। খোলা চায়ের দোকান। চলছে দেদার আড্ডা। পার্ক সার্কাস মোড়ে দেখা মেলেনি পুলিশের। রাত ১টা পর চিংড়িঘাটা মোড়ে বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডের তরফে নাকা চেকিং চালানো হয়। ৯টার পর বাইরে বের হলে তাদের ফোন নম্বর লিখে রাখা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, লালবাজারের তরফে নিয়মভঙ্গকারীদের মোবাইল ফোনে পাঠানো হবে ওয়ার্নিং মেসেজ। 


প্রত্যেক জেলাশাসককে মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন, রাত ৯ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কঠোরভাবে বিধিনিষেধ প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে বাড়াতে হবে নাকা চেকিং। বিধি ভাঙলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার এক বৈঠকে করোনা বিধি মানার উপর জোর দেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারও। রাস্তায় মাস্ক না পরে বেরোলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশের ব্যারাক, মালখানা ও ক্যান্টিন পরিচ্ছন্ন রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।