ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও রঞ্জিত হালদার, কলকাতা ও সোনারপুর: কোভিড বিধি নাগরিকরা মেনে চলছেন কিনা, তা দেখার জন্য লালবাজারের নির্দেশে আজ শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাল পুলিশ।  


বিভিন্ন রাস্তার মোড়, বাজার, বাস, অটোয় সাধারণ মানুষ বা নিত্যযাত্রীরা  করোনা বিধি মানচেন কি না, তা দেখা হয়।  গড়িয়াহাট মোড়ে চালানো হয় অভিযান। মাস্ক না পরায় মহামারী আইনে আটক করা হয় কয়েকজনকে। 


কয়েকজনকে বিধি অমান্যের কারণে পড়তে হয় পুলিশের শাস্তির মুখে। গড়িয়াহাট ছাড়াও অভিযান হয় চাঁদনি চক, বড়বাজার, শ্যামবাজার সহ বেশ কিছু জায়গায়।  


রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তেই রাতেও শহরে কড়াকড়ি শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসে রাত এগারোটা থেকে নাকা চেকিং চালানো হয়। 


সায়েন্স সিটি মোড়ে রাস্তার দুদিকেই গাড়ি ও বাইক ধরে ডিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কী কারণে রাতে বাইরে বেরিয়েছেন? প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ ও তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকরা পথে বেরনো মানুষজনের কাছে তা জানতে চান। পরীক্ষা করা হয় গাড়ির লাইসেন্স। উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে বিশেষ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। 


অভিযান চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৯টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশসান। সেখানে করোনা বিধি কার্যকর করতে তত্‍পর পুলিশ।  


আজ সকালে সোনারপুর থানার পুলিশ বাজার এলাকায় ধরপাকড় করে। মাস্ক না পরে বেরনোর অভিযোগে ৩২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  পাশাপাশি, পুলিশের তরফে করোনা বিধি মানার জন্য মাইকে প্রচারও চালানো হয়। 


কলকাতাতেও কনটেনমেন্ট জোনের জায়গায় এবার মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের উপর জোর দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। সূত্রের খবর, কলকাতা পুর এলাকায় কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাঁর পরিবার মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় পড়বে।


কোনও বহুতলে একাধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে সেই বহুতল মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আসবে। কোনও আবাসনের একাধিক টাওয়ারে করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গেলে, সেক্ষেত্রে পুরো আবাসনই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনভুক্ত হবে। বহুতলের বাইরে নোটিস দিয়ে একথা জানানো হবে।


পুরসভা সূত্রে খবর, করোনা নিয়ে সচেতনতায় জোর দেওয়া হচ্ছে। এলাকায়, মাইকে প্রচার করা হবে।  সেই সঙ্গে আরও জোর দেওয়া হবে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে। পুলিশকেও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে, বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর।