প্রকাশ সিংহ, কলকাতা: সবজির দামবৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে একাধিক বাজারে আজ সকালে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বা ইবি-র আধিকারিকরা। 


লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির পথে হেঁটে রাজ্যে পেট্রোল এবং ডিজেল দুটোই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে।  তার জেরে বেড়েছে পরিবহণ খরচ।  সঙ্গে যোগ হয়েছে দফায় দফায় বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি।  দুইয়ের প্রভাবে আগুন লেগেছে খাদ্যপণ্যের দামে। 


মূলবৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে মজুতদারি ও কালোবাজারি চলছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এদিন বিভিন্ন বাজারে হানা দেয় রাজ্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। 


এদিন সকালে বেলেঘাটার রাসমণি বাজার, সরকার বাজারে গিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন ইবি-র আধিকারিকরা। বিক্রেতারা কত দামে কিনছেন, কত টাকায় বিক্রি করছেন, সেই সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়। 


বিক্রেতারা অনেকেই দাবি করেন, জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে পরিবহণের। সেই কারণেই খুচরো বাজারে দাম বাড়ছে মাছ, মাংস, সবজির।


সোমবার মানিকতলা বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। টমেটোও ৮০ টাকা কেজি। পটল ঘোরাফেরা করছে ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। পালংশাক বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে। কড়াইশুটি ২০০ টাকা কেজি। আগের চেয়ে কিছুটা সস্তা কেবল বাঁধা কপি -- ৪০ টাকা কেজি। 


বিগত কয়েকদিন ধরে প্রায়ই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এরকম অভিযান চালাচ্ছে ইবি। দাম বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন বাজারে হানা দিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।


সোমবার হাওড়ার দুটি বাজারে হানা দেন রাজ্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। ব্যাঁটরার কদমতলা বাজার আর হাওড়া থানা এলাকার কালীবাবুর বাজারে গিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। 


শনিবার সল্টলেকের সিকে মার্কেট, জিডি মার্কেট এবং করুণাময়ী বাজারে পৌঁছে যান এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। বিভিন্ন দোকানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। গত কয়েক সপ্তাহে কোন জিনিসের কতটা দাম বেড়েছে তা জানতে চান। 


উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের চন্দনপুকুর বাজার, নীলগঞ্জ হাট-সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ব্যবসায়ীরা কোথা থেকে কত দামে জিনিসপত্র কিনছেন, কত বেশি দামে তা বিক্রি করা হচ্ছে, এসব জানতে চাওয়া হয়।