কলকাতা: রেড রোডে মিনিবাস দুর্ঘটনায় গ্রেফতার চালক। পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনার পর পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন গার্ডেনরিচের বাসিন্দা সৈয়দ ইবরার হোসেন। 


গতকাল রাত ১১টা নাগাদ কামারহাটি এলাকা থেকে ওই মিনিবাস চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে গাফিলতির জেরে মৃত্যুর অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার রেড রোডে ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে দুর্ঘটনা ঘটে। মিনিবাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পুলিশকর্মীর। আহত হন বাসের ১৯ জন যাত্রী। 


পুলিশ জানিয়েছে, বেলা ১২টা নাগাদ রেড রোডে ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে বাইকারোহী পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা মারে বাসটি। এরপর গাছে ধাক্কা মেরে, সোজা পাঁচিলে উঠে যায়।  


বাসের তলায় পিষ্ট হয়ে যান পুলিশকর্মী। বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন, ফোর্ট উইলিয়ামের মধ্যে থাকা সেনা জওয়ানরা। প্রাথমিকভাবে, তাঁরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। 


পরে ক্রেন দিয়ে মিনিবাসটিকে সরিয়ে নীচ থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পুলিশ কর্মীকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকরা মৃত ঘোষণা করেন। 


পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনায় মৃত পুলিশকর্মী বিবেকানন্দ ডাবের বাড়ি ঝাড়গ্রামে।  সেখানে রয়েছেন তাঁর মা-বাবা, দিদি। 


কাজের সূত্রে হাওড়ার ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকতেন তিনি।  পুলিশকর্মীর এভাবে চলে যাওয়া মানতে পারছেন না তাঁর বন্ধু-সহকর্মীরা। 


দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির রুট ছিল মেটিয়াবুরুজ থেকে হাওড়া। হিসেব মতো, ফোর্ট উইলিয়ামের ইস্ট গেটের উল্টো দিক থেকে টার্ন নিয়ে পার্ক স্ট্রিট হয়ে হাওড়ার দিকে যাওয়ার কথা। 


কিন্তু, পার্ক স্ট্রিট হয়ে ধর্মতলা রুটে না গিয়ে, সোজা গতি বাড়িয়ে রেড রোডে ঢুকে যায় মিনিবাসটি। এমনই দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। 


এদিকে, যেদিন রেড রোড দুর্ঘটনার অভিযুক্ত চালক ধরা পড়ল, সেদিনই শহরে ঘটে গেল আরেকটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল বাইক আরোহীর।


পুলিশ সূত্রে খবর, রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ হাওড়া থেকে এক্সাইডের দিকে আসছিল লরিটি। দ্রুত গতিতে আসার সময় পিছন থেকে ধাক্কা মারলে ছিটকে পড়েন বাইক আরোহী।


দুর্ঘটনার তীব্রতায় টুকরো টুকরো হয়ে যায় তাঁর হেলমেট। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।