কলকাতা: ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত হল আর জি কর মেডিক্যাল। সকাল থেকে শুরু হয় কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। অধ্যক্ষকে না পেয়ে এমএসভিপিকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। সকাল থেকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে অসুস্থ হয়ে পড়েন এমএসভিপি। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ডাক্তারি পড়ুয়াদের বিক্ষোভ শুরু হয় এদিন। রাত ১০টার পরে লবিতে বসায় নিষেধাজ্ঞার অভিযোগেই বিক্ষোভ বলে সূত্রের খবর। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আর জি কর মেডিক্যালের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 


এর আগে অগাস্টে মাসের মাঝামাঝি সময়ে একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে নামেন পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরেও সমাধান সূত্র মেলেনি বলে দাবি করেন পড়ুয়ারা। যদিও তাঁদের কয়েকটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। বিক্ষোভ চলাকালীন রাতে হাসপাতালে যান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। কথা বলেন বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে। আলোচনার মাধ্যমেই রফাসূত্র মিলবে বলে আশাপ্রকাশ করেন সাংসদ। 


সূত্রের খবর, কয়েকদিন ধরেই চলছিল অশান্তি। সোমবার থেকে ফের উত্তাল হয় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ। সুপার, ডেপুটি সুপার, অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। হাসপাতালের দাবি কোন দাবিতে ঘেরাও? তা জানেই না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বারংবার ডাক্তারি পড়ুয়াদের লিখিতভাবে দাবি জানাতে বলা হলেও তাঁরা অনড় বলে অভিযোগ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


১৫ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধুন্ধুমার বাঁধে। গ্রুপ ডি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন গ্রুপ ডি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বিক্ষোভরত কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েকজন আহত হন। যদিও পুলিশের বক্তব্য, ধাক্কাধাক্কিতে জখম হয়েছেন তাঁরা। 


নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গ্রুপ ডি কর্মীদের অশান্তি। তার জেরে ধুন্ধুমার বাধল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ, গ্রুপ ডি কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মহিলা কর্মীদের ধাক্কা দেওযা হয বলেও অভিযোগ। অশান্তির সূত্রপাত, রবিবার বিকেলে। হাসপাতালের অস্থায়ী গ্রুপ ডি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদেরকে মারধর করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রতিবাদে আরজি করের সামনে পথ অবরোধ করেন গ্রুপ ডি কর্মীরা।


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। অভিযোগ, তখনই লাঠিচার্জে আহত হন বেশ কয়েক জন। শেষমেষ হাসপাতলের সুপারের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও অশান্তির ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা, বেসরকারি সংস্থা। কোনও মন্তব্য করতে চাননি নিরাপত্তা রক্ষীরা।  পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তেজনার মুহূর্তে ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার জেরেই সম্ভবত জখম হন কয়েকজন।