কলকাতা: ৪৮ ঘণ্টা পরেও রহস্যে মোড়া বেহালার জোড়া খুনকাণ্ড। খুনের নেপথ্যে একাধিক আততায়ী থাকার সম্ভাবনা বলে অনুমান করছে পুলিশ। পাশাপাশি মা ও ছেলে যে কোনও পরিচিতর হাতেই খুন হয়েছেন তা নিয়েও নিশ্চিত পুলিশ। ঘটনাস্থলে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার আধিকারিক। আবাসনের ৫টি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গিয়েছে, অনলাইনে হিন্দি ক্লাস করার আগেই ফোন বন্ধ হয় তমোজিতের। বেলা ৩টের সামান্য পরেই শেষ হয়েছিল বায়োলজির ক্লাস। পুলিশ সূত্রে, খবর হিন্দি ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা ৩.১৫ নাগাদ। তবে হিন্দি ক্লাস করেনি তমোজিৎ।
বেহালায় জোড়া খুনের কারণ ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা। তবে পরিচিতর হাতেই খুন মা ও ছেলে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত পুলিশ। আবাসনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিকেল ৪টের পর্যন্ত বাইরের গেট তালাবন্ধ থাকে। এ দিকে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, খুনের সম্ভাব্য সময় দুপুর ৩টে থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে। ফলে পুলিশ মনে করছে, পরিচিত কাউকে দেখেই তিনতলা থেকে গেটের চাবি নিচে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন গৃহকর্ত্রী সুস্মিতা মণ্ডল।
জোড়া খুনের রহস্যের জট কাটাতে তাই মণ্ডল পরিবারের পরিচিতদের তালিকা তৈরি করছে পুলিশ। কাদের ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াত ছিল, তাঁদের সঙ্গে মণ্ডল দম্পতির কেমন সম্পর্ক ছিল, এসবই আপাতত তদন্তকারীদের নজরে। অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মা-ছেলের পাকস্থলীতে খাবার মিললেও, বেহুঁশ করার মতো কোনও কিছু মেলেনি। সুস্মিতার দেহে প্রায় ২০টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। গলার নলি কাটা ছাড়াও তাঁর ছেলের দেহেও রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। উল্লেখ্য, বেহালাকাণ্ডে একাধিক আততায়ী থাকার সম্ভাবনা ক্রমশ জোরাল
মা-ছেলেকে খুনের ধরন থেকে অনুমান গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: Dakshin Dinajpur: রেশন তুলতে গিয়ে মাথায় ভাঙল শেড, আহত ৮ গ্রাহক
আরও পড়ুন: Kolkata: পর্ণশ্রীতে খুন হওয়া মা ও ছেলের দেহে আঘাতের চিহ্ন, পাকস্থলিতে মিলেছে খাবার